জম্মু ও নয়াদিল্লি: ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা সন্ত্রাসের মত হামলা একটুর জন্য এড়ালেন নিরাপত্তারক্ষীরা। দক্ষিণ কাশ্মীরের সেই পুলওয়ামাতেই একটি গাড়ি থেকে তাঁরা উদ্ধার করেছেন ৪৫ কেজি আইইডি। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে গাড়ি  সমেত আইইডি-কে ধ্বংস করে বাহিনী। পরে, ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।





সাদা স্যান্ট্রো গাড়িটির নাম্বার প্লেটও ছিল জাল। জানা গিয়েছে, একটি বাইকের নম্বর সাঁটা ছিল গাড়িতে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এলাকায় নাকা চেকিং করছিল নিরাপত্তা বাহিনী।  পুলওয়ামার রাজপোরা এলাকায় সন্দেহজনক গাড়িটি আটক করে সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী।


সন্দেহ হওয়ায় একটি গাড়িকে থামানোর চেষ্টা হয়। সেইসময় গতি বাড়িয়ে ব্যারিকেড ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে চালক। নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালাতে শুরু করায়, চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।<





ভেতরে উদ্ধার হয় বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক। এত ভারী ছিল গাড়িটি যে তা সরানো যাচ্ছিল না।  প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গাড়ি চালাচ্ছিল এক সন্দেহভাজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি, নাম আদিল, গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় সে। পরে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের বিস্ফোরক সহ গাড়িটি উড়িয়ে দেয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড।


কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল, এক জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নাশকতা চালাতে চলেছে। হিজবুল জঙ্গি আদিল জৈশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি টার্গেট করাই তার লক্ষ্য ছিল।





জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার মতো একইভাবে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। এমনকী, ২০১৯ সালে বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়িতে যে আইইডি বক্স ব্যবহার করা হয়েছিল, এদিনের গাড়িতেও একই বক্স ছিল।


তিনি যোগ করেন,  জৈশ ছাড়াও এই ঘটনায় হিজবুল মুজাহিদিনও জড়িত রয়েছে। নাম উঠে এসেছে জৈশ জঙ্গি ইসমাইল ওরফে লম্বু-র। ২০১৯ সালের হামলার ঘটনাতেও জড়িত ছিল লম্বু। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আইইডি-বিশেষজ্ঞ পাক জঙ্গি ওয়ালিদ ভাইয়েরও।


কাশ্মীর জোন পুলিশ অপারেশনের সাফল্য নিয়ে টুইট করেছে।