জেনিভা: গত ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম করনো সংক্রমণের খোঁজ মেলে। কিন্তু, তার আগেই কি এই মারণ ভাইরাসের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল? এমনটাই সন্দেহ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তারা আহ্বান করেছে, ওই সময়ের আগের কোনও সন্দেহজনক ঘটনা বা নমুনা থেকে থাকলে, তা আবার পরীক্ষা করে দেখতে।


সংক্রমণের বিষয়টি ৩১ ডিসেম্বর হু-কে জানিয়েছিল চিন। পরবর্তীকালে, তা কোভিড-১৯ নামে নামাঙ্কিত হয়। সেই সময় ভাবা হয়েছিল জানুয়ারির আগে তা ইউরোপে পৌঁছয়নি। কিন্তু, এখন হু-এর দাবি, সম্ভবত নামকরণ হওয়ার আগেই এই ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছিল। সেই সময় কেউ এটাকে ততটা গুরুত্ব দেয়নি।


হু-এর মুখপাত্র লিন্ডমেয়ার বলেন, আগের কোনও ঘটে যাওয়া ঘটনার নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করলে হয়ত নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে। সম্প্রতি, ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে তেমনই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ডিসেম্বরে নিউমোনিয়া রোগীদের সংরক্ষিত নমুনাগুলি এখন পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা যায়, একটি কোভিড-১৯ সংক্রমিত।


এখনও পর্যন্ত বিশ্বে গৃহীত সত্য হল, চিনের উহান থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। ওই ফরাসি ব্যক্তির নমুনা পজিটিভ হওয়ার পর এখন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়ত কোনওভাবে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, যিনি চিনে সফর করেছিলেন তার আগে।


ঘটনাক্রমে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ফরাসি ব্যক্তি পেশায় মৎস্যজীবী। কিন্তু, তিনি কোনওদিন চিনে যাননি। তাউ হু-এর দাবি, এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ডিসেম্বরের আগেই চিনে হানা দিয়েছিল করোনাভাইরাস। তখন কেউ তা চিনতে পারেনি।


এই পরিস্থিতিতে, বিশ্বের প্রতিটা দেশকে হু অনুরোধ করেছে, ২০১৯ সালের যাবতীয় অজানা জ্বরের নমুনা নতুন করে কোভিড পরীক্ষা করতে। তার থেকে প্রমাণ হবে যে, ডিসেম্বরের অনেক আগে থেকেই থাবা বসাতে শুরু করেছিল নোভেল করোনাভাইরাস।


এদিকে, ফ্রান্সের এই ঘটনা করোনাভাইরাসের উৎসের তত্ত্বে নতুন মোড় এনে দিল। এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে ফের একবার চিনকে আক্রমণ করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা মানতে না চাইলেও, তাঁদের কাছে প্রমাণ আছে যে, চিনের গবেষণাগার থেকেই বেরিয়েছে করোনাভাইরাস।