নয়াদিল্লি: নাথুরাম বিনায়করাও গডসে মহারাষ্ট্রের চিতপাবন ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯১০ সালের ১৯ মে পুণে শহরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। 'জাতির জনক' মহাত্মা গাঁধীকে হত্যা করেছিলেন গডসে। কারণ, গডসের বিশ্বাস ছিল, ভারতের দেশভাগের জন্য একমাত্র দায়ী ছিলেন গাঁধীজি। অনুপ সরদেশাইয়ের রচিত "নাথুরাম গডসে: দ্য হিডেন আনটোল্ড ট্রুথ" বইতে তাঁর জীবনের অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে।


জানা গিয়েছে, মেয়েদের মতো পোশাক পরার জন্য স্কুলের সহপাঠীরা গডসেকে উত্যক্ত করত। সহপাঠীদের ব্যবহারে তিনি ভীষণ কষ্ট পেতেন। তাঁর মা তাঁকে সান্ত্বনা দিতেন। বই অনুযায়ী, ভীষণ সাধারণ জীবনাপন করলেন গডসে। কোনওদিন তামাকসেবন বা মদ্যপান করেননি নাথুরাম। আজীবন অকৃতদার ছিলেন।


স্কুলে থেকে নাম কাটা গেলে, হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়মসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন নাথুরাম।


সেখানে বিনায়ক দামোদর সারভাকরের সচিব হন গডসে। তাঁর অধীনে ইংরেজি লেখা ও পড়তে শেখেন গডসেষ একইসঙ্গে বক্তৃতা দিতেও শেখেন। এম এস গোয়ালকার, যিনি পরবর্তীকালে আরএসএস প্রধান হয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বাবারাও সারভারকরের বই "রাষ্ট্র মীমাংসা" ইংরেজিতে অনুবাদ করেন গডসে।


এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন না গডসে। অন্যদিকে, সেটাই ছিল গাঁধীজির সব শিক্ষার মৌলিক ভিত্তি। ১৯৪৭ সালের ৩০ জানুয়ারি, সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা শেষে বাসভবনের দালানে অপেক্ষারত মানুষের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছিলেন গাঁধীজি। ভিড়ের মধ্যে থেকে গডসে ও নারায়ণ আপ্তে অপেক্ষা করছিলেন হত্যা করতে। গাঁধীর সামনে এসে তাঁর পা ছোঁয়ার পর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন গডসে।


৬ সহ-ষড়যন্ত্রকারীর সঙ্গে গডসে ও আপ্তেকে গ্রেফতার করা হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে বিচারপর্ব চলে। ১৯৪৯ সালের ৮ নভেম্বর গডসে ও আপ্তেকে কে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯ নভেম্বর।