নেডার বৈঠকে নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলকে চরম বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এতে উত্তরপূর্বের জনবিন্যাসই পুরোপুরি বদলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বলেন, আমরা বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে চাই।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা অমিত শাহকে বলেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে আশঙ্কা, সংশয় তৈরি হয়েছে। বিলটি ফের পেশ করার আগে কেন্দ্র কি রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা এড়িয়ে যাবে, প্রশ্ন করে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পর কী হবে? বাংলাদেশ থেকে লোকজন আসা কি চলতেই থাকবে নাকি কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে? উত্তরপূর্বে সংশয়, ভীতি রয়েছে।
কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে সব পক্ষকে আলোচনায় ডেকে সহমত গড়ে তোলার ডাক দেন সাংমা। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উত্তরপূর্বের জনগণের স্বার্থের দিকে নজর দিতে আবেদন করেন। তিনি বলেন, আমরা ষষ্ঠ শিডিউলের আওতায় আছি। তাহলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে কি স্থানীয় আইনকে উপেক্ষা করা হবে? আমাদের আতঙ্ক দূর করুন। আপনি আমাদের ভয় বিবেচনা করে দেখবেন, অমিত শাহকে বলেন তিনি।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা উত্তরপূর্বকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের আওতার বাইরে রাখার দাবি করেন। বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল বিতর্কিত বিলটি সমর্থন করেছে, তারা ‘আত্মহত্যা করতে বসেছে’!
এই বিল ৮ জানুয়ারি লোকসভায় পাশ হয়েছে। রাজ্যসভায় পেশ করা হয়নি। বিলে বলা হয়েছে, কোনও নথিপত্র না থাকলেও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা বিপন্ন হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সিরা ভারতে সাত বছর বসবাসের পর এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।