সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির বলাগড়ের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে শ্রীরামপুরের দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জবাব শুভেন্দু অধিকারীর। নাম না করে নিশানা পরিবহণমন্ত্রীর। জবাবে পাল্টা পরিবারতন্ত্রের খোঁচা কল্যাণের। সম্প্রতি শুধু মন্ত্রিত্বের লোভ, হিম্মত থাকলে ছেড়ে দিয়ে চলে যাও! দলীয় সভায় কল্যাণের এহেন মন্তব্যে জল্পনা ছড়ায়, সরাসরি নাম না করলেও তিনি কি সম্প্রতি শিরোনাম হয়ে ওঠা শুভেন্দুকেই ইঙ্গিত করছেন? শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মাঝেই ওই মন্তব্য করেন কল্যাণ। শুক্রবার হুগলিরই বলাগড়ের একটি অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে সরব হন শুভেন্দু। বলেন, অনিল বসুর অশালীন মন্তব্য সমর্থন করেননি জেলার মানুষ। কোনও জনপ্রতিনিধি আমাকে বা আমার পরিবারকে আক্রমণ করলে আপনারা সমর্থন করবেন? উপস্থিত দর্শকমণ্ডলীর সামনে থেকে ‘না’ ধ্বনি ওঠে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শুভেন্দুকে দলে ধরে রাখতে যখন মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল, তখন কল্যাণ কিন্তু সেই নাম না করে তাঁকেই খোঁচা দেওয়ার অবস্থানে অনড়। তিনি ফোনে এবিপি আনন্দকে বলেন, বাবা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছেন। আমি তো এভাবে রাজনীতিতে আসিনি। কোনও দলে থেকে সেই দলের কোনও নেতার বিষয়ে এধরনের রাজনৈতিক মন্তব্য করার মানে হল সেই নেতা অন্য দলে যাওয়ার কথাই ভাবছেন।
নাম না করে শুভেন্দুকে কল্যাণের এই আক্রমণ কি নিছকই ব্যক্তিগত, না কি বিশেষ কোনও উদ্দেশে? এই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টিকে বাড়তে না দেওয়ারই পক্ষে। জেলার তৃণমূল মুখপাত্র প্রবীর ঘোষাল বলেন, শুভেন্দু এখনও দলের মন্ত্রী ও তৃণমূলের কর্মী। তার সভা থেকে রাজনৈতিক আক্রমণ থাকতেই পারে কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ সমর্থন করা যায় না।
শুভেন্দু আগামী দিনে কোন পথে পা বাড়াবেন, তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। তার মধ্যে দলের সতীর্থদের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।