নয়াদিল্লি: হিংসাকবলিত উত্তরপূর্ব দিল্লির জাফরাবাদের খালি রাস্তায় পুলিশের পাহারা দেওয়ার দৃশ্যের ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র ট্যুইট করলেন, জাফরাবাদ খালি। আরেকটা শাহিনবাগ এখন হবে না। দক্ষিণ দিল্লির শাহিনবাগে রাস্তার একাংশ আটকে দুমাসের ওপর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদীদের অবরোধ, অবস্থান চলছে। ১১ সেকেন্ডের ভিডিওটি ট্যুইট করে তাকেই ইঙ্গিত করলেন মিশ্র।
মঙ্গলবার বিকালেই জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে সিএএ-বিরোধী অবস্থান সরিয়ে দেয় পুলিশ।
উত্তরপূর্ব দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায় সিএএ- সমর্থক, বিরোধীদের সংঘর্ষে আগুন জ্বলছে। এক পুলিশ কনস্টেবল সহ ২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। টানা তিনদিনের অশান্তি, হিংসায় ঘরবাড়ি, যানবাহন পুড়েছে। জখম ২৫০-র বেশি।

অভিযোগ, গত শনিবার ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা অশান্তির আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে রবিবার বিকালে কপিল মিশ্র জাফরাবাদে গিয়ে পুলিশকে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে অবরোধ সরিয়ে দিতে বলার পর। এজন্য হিংসার ব্যাপারে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হবিবুল্লাহ। তিনি পিটিশনে হিংসার পিছনে কপিলের উসকানির অভিযোগ জানিয়েছেন। সোমবারও কপিল একটি ট্যুইটে সিএএ সমর্থন করে কোনও অন্যায় করেননি বলে দাবি করেন। লেখেন, ভারত, বিদেশ থেকেও খুনের হুমকি পাচ্ছি। আমায় ভয় দেখানো হচ্ছে। একটা বন্ধ থাকা রাস্তা খুলতে সাহায্য করা অপরাধ নয়। সিএএ সমর্থন করা অপরাধ নয়। সত্যি বলাও অপরাধ নয়। হিন্দিতে করা ট্যুইটের শেষে ইংরেজিতে লেখেন, আমার বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা ছড়ানোর প্রচারাভিযান চলছে। কিন্তু ভয় পাই না।
তবে কপিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবারই ক্ষোভ উগরে দিয়ে পূর্ব দিল্লির বিজেপি এমপি গৌতম গম্ভীর বলেন, কপিল সহ যিনি-ই হোন, ‘প্ররোচনামূলক ‘ কথা বললে সবার বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।