নয়াদিল্লি: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় আরও পতন ভারতের। এক বা দুই নয়, ১১ ধাপ নীচে নেমে গেল ভারত। ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১তম স্থান জুটল। আগের বছর ১৫০তম স্থানে ছিল ভারত। অর্থাৎ এ বছর আরও ১১ ধাপ নীচে জায়গা হল। সেই তুলনায় পাকিস্তান তালিকায় অনেক উপরে রয়েছে। গত বছর যেখানে ১৫৭তম স্থানে ছিল তারা, এ বছর ১৫০তম স্থান দখল করেছে (World Press Freedom Index)। 


শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভারতের চেয়ে ঢের এগিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কাও। ২০২২ সালে ২৪৬তম স্থান দখল করেছিল তারা। এ বছর আরও উপরে উঠে, ১৩৫তম স্থান দখল করেছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে নরওয়ে, আয়ারল্য়ান্ড এবং ডেনমার্ক। সূচকে একেবারে নীচে রয়েছে ভিয়েতনাম, চিন এবং উত্তর কোরিয়া (Press Freedom)।


একই সঙ্গে, যে সমস্ত দেশে সাংবাদিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে কাজ করেন, সেই ৩১ দেশের মধ্যে রাখা হয়েছে ভারতকে। ভারতের পরিস্থিতিতে 'অত্যন্ত গুরুতর' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  ভারত সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভারতের সংবাদমাধ্যম 'রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট', ভারতে 'সাংবাদিকরা হামলার শিকার হন', 'বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্কটাপন্ন'। এ ছাড়াও বলা হয়েছে, "২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি ভারতে শাসন চালাচ্ছে, যারা কিনা দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী জাতীয়তাবাদী সংগঠন।"


আরও পড়ুন: Go First Airways: ব্যাঙ্ক, সরকারি কোষাগার থেকেও ঋণ, বাজারে সাড়ে ১১ হাজার কোটির দেনা, শোধ করতে অক্ষম Go First


বিশ্বের কোন দেশে সংবাদমাধ্যম নির্ভয়ে কাজ করতে পারে, স্বাধীন ভাবে সত্যতা তুলে ধরতে পারে, সে দিকে নজর রাখে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF) সংগঠন। সেই নিরিখে সূচকে কে, কোথায় দাঁড়িয়ে নির্ধারণ করে তারা। RSF একটি অলাভজনক সংগঠন। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কায়েম রাখাই এদের লক্ষ্য। প্রতি বছর সেই মতো তালিকা প্রকাশ করে RSF. তাতেই ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত আরও নীচে নেমে গিয়েছে।


সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নির্ধারণে বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেয় RSF. যেমন, সংবাদ পরিবেশনে কতটা স্বাধীনতা রয়েছে, কতটা নিরপেক্ষ ভাবে খবর পরিবেশন করা যায়, সরকার বা কারও তাঁবেদারি না করে জনস্বার্থকে এগিয়ে রাখা যায় কতটা। এ ছাড়াও, রাজনৈতিক, সামাদিক, অর্থনৈতিক, বিষয়ে কতটা খোলাখুলি সমালোচনা করার সুযোগ থাকে, তা-ও দেখা হয়। সাংবাদিকদের প্রাণের ঝুঁকি কতটা, মানসিক ভাবে তাঁরা কোন জায়গায়, বিবেচনা করে দেখা হয় সেই সবও।