১৯৮৯ সালের ১১ অগাস্ট বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টির সাত-আটজন সশস্ত্র সদস্য ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। সেই সময় হাসিনা বাড়িতেই ছিলেন। হামলাকারীরা গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। সেখানে থাকা পুলিশকর্মীরা পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে চার্জশিটে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশিদেরও নাম ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে যুক্ত থাকার দায়ে আগেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন।
বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের দাবি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে অন্তত ১৯ বার হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ বছরের অগাস্টেই হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার অন্য একটি মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।