বিস্ময় জাগানো ঘটনাটি স্পেনের। তলপেটে ব্যাথা হওয়ায় মেয়েটিকে তার পরিবার হাসপাতালে ভর্তি করেছিল এই ভেবে যে ওর অন্ত্রের কোনও অসুখ করেছে। কিন্তু পরে বেরল যে, ও গর্ভবতী।
পূর্ব স্পেনের মুরসিয়া শহরের এক হাসপাতালে পুত্রসন্তান প্রসব করেছে বলিভিয়া থেকে আসা অভিবাসী মেয়েটি।
পুলিশকে তলব করা হয় সদ্যোজাতের বাবা কে, খুঁজে বের করার জন্য। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটির সন্তানের বাবা তারই দাদা। স্পেনে ২০১৩ পর্যন্ত আইনি সম্মতির বয়স ছিল ১৩ বছর। অর্থাত্ ১৩ বছর বয়স হলে যৌন সম্পর্ক বৈধতা পেত। যদিও তারপর সেই বয়সসীমা বেড়ে হয়েছে ১৬ বছর। তবে যদি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয়ে থাকে, ছেলেটির বয়স মেয়েটির সমান হয়ে থাকে এবং দেখা যায়, সে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার মুখে, তবে ছাড় মেলে। এক্ষেত্রে ছেলেটির স্পেনের আইনে ফৌজদারি বিচার হবে না তার বয়স তাকে ফৌজদারি অপরাধী বলে গণ্য করার মতো না হওয়ায়।
বাচ্চাটির বাবার পরিচয় সম্পর্কে মেয়েটির পরিবারের দাবির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ওই গ্রামের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাটিকে একেবারেই ব্যতিক্রমী আখ্যা দিয়েছে। তাদের প্রতিনিধি ম্যানুয়েল ভিলিগাস বলেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তদন্ত চলছে। সব জানা যাবে।
স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি যে, ঘটনাটিকে ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহ বলা যায়। শারীরিক সম্পর্কে সায় ছিল ওদের দুজনেরই।
মেয়েটি, তার বাচ্চাও ভাল আছে।