ঢাকা: আগামীকাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২ লক্ষ ৫২০০০ মার্কিন ডলার বেআইনি আত্মসাতের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার রায়দানের আগে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় চলছে বলে অভিযোগ।
মামলায় দোষী ঘোষিত হলে ৭২ বছর বয়সি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) সভানেত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এ বছরের শেষে নির্ধারিত দেশব্যাপী নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারও খোয়াতে পারেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে অপরাধী সাব্যস্ত হলে খালেদা অনুগামীরা ব্যাপক হাঙ্গামা, অশান্তি বাঁধাতে পারেন বলে আশঙ্কা করে রাস্তায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করে দিল পুলিশ।
তবে তাঁর দলের নেতা, কর্মীদের দাবি, রায় বেরনোর আগেই সারা দেশে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী, কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছে। দুবারের প্রধানমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলেও দাবি তাঁদের।
ঢাকা পুলিশের প্রধান আসাদুজ্জামান মিঁয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাস্তায় যানবাহন চলাচল আটকে বসে বা দাঁড়িয়ে কোনও প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অবস্থান, মিছিলের অনুমতি মিলবে না।
বিএনপি মুখপাত্র রুহুল কবীর রিজভি সরকার দেশকে পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিরোধী নেতা, কর্মীদের বাসভবন, দপ্তরে হানা দিয়ে আটক করছে পুলিশ। ৩০ জানুয়ারি থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১২০০ বিএনপি কর্মীদের আটক করা হয়েছে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ রেখে মানুষের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে ওরা। প্রাক্তন মন্ত্রী আমানুল্লা আমন সহ শীর্ষ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৫-য় খালেদার বিএনপি ও তার ইসলামিক জোটসঙ্গীদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ২০০ লোক। ২০১৪-র নির্বাচন বয়কট করেছিল বিএনপি, তবে এবারের ভোটে তারা লড়তে চায় বলে জানিয়েছে।