ঢাকা: এপার বাংলাকে পাশ কাটিয়ে ওপার বাংলায় হানা দিল ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। এই ঝড়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

বাংলাদেশের ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে প্রথম আঘাত হানে রোয়ানু। তীব্র বেগে হাওয়া বইতে থাকে। সারা দেশেই এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে। ঝড়ের ফলে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিপদের আশঙ্কা বেড়েছে। সরকার বিপর্যয় এড়ানোর জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।

শনিবার সকাল থেকেই বাংলাদেশে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামে ধস নেমে এক নাবালিকা ও তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের দাপটে ভোলা জেলায় কয়েকশো মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এখানেও এক শিশু ও তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালিতেও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য জায়গায় আরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পটুয়াখালি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। একটি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। গাছ পড়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে গিয়েছে। চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাবতীয় উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও শিলেটে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বন্দরগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।