লাহৌর: পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরগোধা অঞ্চলের একটি দরগায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন কর্মীর বিরুদ্ধে সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ২০ জনকে খুন করার অভিযোগ উঠল। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৬ জন রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল সন্দেহভাজন আবদুল ওয়াহিদ নির্বাচন কমিশনের কর্মী। সে লাহৌরের বাসিন্দা।

সারগোধার ডেপুটি কমিশনার লিয়াকত আলি চট্টা জানিয়েছেন, গতকাল মধ্যরাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আততায়ীরা ছুরি ও লাঠির আঘাতে ২০ জনকে হত্যা করেছে। তার আক্রমণে দুই মহিলা সহ ৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, দরগার কর্মীরা প্রথমে মাদক খাইয়ে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের অচেতন করে দেয়। এরপর তাঁদের পোশাক খুলে ফেলে খুন করে। আবদুল মানসিকভাবে অসুস্থ। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, সেটা এখনও জানা যায়নি। এক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, দরগার অধিকার নিয়ে কর্মীদের দুটি আলাদা দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেই কারণেই এই হত্যাকাণ্ড কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আবদুল গত দু বছর ধরেই এই দরগায় আসছিল। এখানে যাঁরা আসেন, ‘পাপ’ দূর করার জন্য তাঁদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে দরগার কর্মীরা। এক্ষেত্রেও সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা করে খুন করেছে কর্মীরা।