৫০০ কোটি ডলারের ডিল, চিন থেকে অন্তত ৮টি সাবমেরিন নিচ্ছে পাকিস্তান
Web Desk, ABP Ananda | 31 Aug 2016 03:38 PM (IST)
ইসলামাবাদ: প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ডিল হয়েছে পাকিস্তান, চিনের। ডিল অনুসারে চিনের কাছ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে কম করে আটটি সংশোধিত ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন কিনছে পাকিস্তান। হয়েছে। বলা হচ্ছে, এর আগে এত বড় অস্ত্র রপ্তানির ডিল কখনও পায়নি চিন। পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্মের সাবমেরিন কর্মসূচির প্রধান ও উচ্চপদস্থ নৌ-অফিসাররা গত ২৬ আগস্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রতিরক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের ওই ডিলের ব্যাপারে অবহিত করেন বলে সরকারি পাক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। রেডিও পাকিস্তান-এর খবর, কমিটি সদস্যদের সামনে নৌ অফিসারদের পেশ করা বক্তব্যেই পরিষ্কার, পরবর্তী প্রজন্মের সাবমেরিন জোগাড় করার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হওয়ার পথে এগচ্ছে। গত এপ্রিলেই পাক নৌবাহিনীর এক সিনিয়র অফিসার ঘোষণা করেন, আটটি সাবমেরিনের মধ্যে চারটি তৈরির বরাত পেয়েছে করাচি শিপইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস। এই সাবমেরিনগুলিতে এমন এক প্রপালশন সিস্টেম থাকবে যা বাতাসের ওপর নির্ভরশীল নয়। ‘সবরকম পরিস্থিতিতে পাশে থাকা বন্ধু’ বলে পরিচিত চিন সাবমেরিন প্রজেক্টের খরচ মেটাতে পাকিস্তানকে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে চিনের শিপবিল্ডিং ট্রেডিং কোম্পানি ঠিক কী ধরনের সাবমেরিন পাকিস্তানের নৌবাহিনীকে দেবে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। এ নিয়ে জল্পনা রয়েছে অনেকদিনের। তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, নতুন সাবমেরিনগুলি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির ০৩৯ ও ০৪১ ইউয়ান স্তরের প্রচলিত অ্যাটাক সাবমেরিনই হবে। প্রথম চারটি সাবমেরিন ২০২৩ সালের শেষে পাঠানো হতে পারে। বাকি চারটি ২০২৮ নাগাদ করাচিতে যন্ত্রাংশ এনে জোড়া দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সামরিক যন্ত্রাংশের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হল চিন। যুদ্ধের ট্যাংক, নৌবাহিনীর জাহাজ, সামরিক জেটবিমান—এগুলি রয়েছে যন্ত্রাংশের মধ্যে। দু দেশ যৌথভাবে জে-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমানও তৈরি করছে। পাকিস্তানের সাবমেরিনের ভাঁড়ারে রয়েছে পাঁচটি অ্যাগোস্টা। দুটি অ্যাগোস্টা ৭০, তিনটি অ্যাগোস্টা ৯০ বি। আর আছে তিনটি এমজি ১১০ মিনিয়েচার সাবমেরিন।