আঢ্য এবং শ্রিয়া বিসাম, দুই যমজ বোন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে গিয়ে তাদের আবিষ্কার দিয়ে মুগ্ধ করেছে সবাইকে। মূলত তারা স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিত্সার জন্যে নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে।সেখানে তারা মস্তিষ্ক ও মনোরোগ দুটোরই মূল্যায়নের মাধ্যমে এই অসুখের চিকিত্সা পদ্ধতি বের করেছে।দুজনেই টেক্সাসের প্লানোর একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
এদিকে ভীনিত এডুপুগান্টি একক ভাবে এই পুরস্কার জিতেছে, কারণ সে একধরনের বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাটারি আবিষ্কার করেছে। এই ব্যাটারির সাহায্যে চিকিত্সা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিষে চার্জ দেওয়া যাবে।
ভীনিতের আবিষ্কৃত ব্যাটারির সাহায্যে চিকিত্সার সরঞ্জাম অনেক সময়ই শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে বিভিন্ন অঙ্গের পরিস্থিতি বোঝা যাবে। ভীনিত অরিগনের পোর্টল্যান্ডে এক হাইস্কুলের ছাত্র।
সিমেন্স ফাউন্ডেশনের সিইও ডেভিড এটজউইলার জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় বাজিমাত্ করা এই দুই যমজ বোন এবং ভীনিতের আবিষ্কার সারা দুনিয়ার লক্ষাধিক মানুষের উপকার করবে। চিকিত্সা বিজ্ঞানকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে এই কিশোর-কিশোরীর আবিষ্কার, দাবি ডেভিডের। চিকিত্সা শাস্ত্র এবং চিকিত্সার পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে এদের আবিষ্কার।
এই তিন কিশোর-কিশোরী ছাড়া আরও তিন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোর একক বিভাগে নিজেদের বুদ্ধি-আবিষ্কারের মাধ্যমে জিতে নিয়েছে সেরার শিরোপা।
হাইস্কুলের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যালটোসের মনন শাহ জিতে নিয়েছে ৫০, ০০০ ডলার, প্রতীক কালাকুন্তলা জিতেছে ৩০, ০০০ ডলার এবং প্রণব শিবাকুমার জিতেছে ২০, ০০০ ডলার।
সিমেন্স ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ২, ১৪৬ টি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অংশ নিয়েছিল, তাদের ১৬০০ প্রজেক্ট নিয়ে।