করাচি: পাকিস্তানের তিনটি শহরে একাধিক বিস্ফোরণ এবং গুলি চালানোর ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ৪২ জনের। আহত হয়েছেন অন্তত ১২১ জন। প্রথম আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি হয় বালুচিস্তানে। কোয়েট্টা শহরে আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানের দফতরের কাছে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জনের। তাঁদের মধ্যে ৭ জন পুলিশকর্মীও আছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা এবং তেহরিক-ই-তালিবান ছেড়ে বেরিয়ে আসা গোষ্ঠী জামাত-উল-আহরার এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। বালুচিস্তান সরকার আবার এই ঘটনার জন্য ভারতকে দায়ী করেছে।

বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র আনোয়ার উল হক কাকর বলেছেন, একজনই হামলা চালিয়েছে। সে গাড়ি নিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে পুলিশের দফতরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। এরপরেই বিস্ফোরণ ঘটায় সে। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ৭৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কোয়েট্টার ডিআইজি আবদুল রজ্জাক চিমা বলেছেন, তাঁরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। বিস্ফোরণের ফলে হামলাকারীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সেই দেহাংশগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণে দুটি গাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন, সেনেটের চেয়ারম্যান রাজা রব্বানি, পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, বালুচিস্তানের গভর্নর মহম্মদ খান আচাকজাই, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিরা এই বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শরিফ।

দ্বিতীয় হামলাটি হয় উপজাতি অধ্যুষিত কুররম অঞ্চলের পারাচিনার শহরে। বাজারে ইদের কেনাকাটা করার জন্য বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময়ই দুটি বিস্ফোরণ  মৃত্যু হয় অন্তত ২৫ জনের। নিহতদের বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের। করাচিতে আবার দুই বন্দুকবাজ একটি বাইকে চড়ে এসে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। চার জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।