ঢাকা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে ভারতে জোর বিতর্ক চলছে। অসমে গত ৩১ আগস্ট নাগরিকপঞ্জী প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যেই গত দুই মাসে মোট ৪৪৫ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল মহম্মদ সাফিনুল ইসলাম এক সাংবাদিক বৈঠকে এই সংখ্যার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত থেকে সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়ার জন্য ২০১৯-এ প্রায় এক হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ফিরেছেন ৪৪৫ জন।
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় যাচাইয়ের পর বিজিবি জানতে পেরেছে যে, এই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশি। এ কথা জানিয়ে ইসলাম বলেছেন, বেআইনিভাবে প্রবেশের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ২৫৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এদের মধ্যে রয়েছে তিনজন মানব পাচারকারীও।
বিজিবি ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এই অবৈধ প্রবেশের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোনও ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়নি।
গত সপ্তাহেই ইসলাম ভারত সফরে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন যে, এনআরসি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় এবং দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বাতাবরণ রয়েছে। ইসলাম জানিয়েছেন, কর্তব্য অনুযায়ী বিজিবি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধের কাজ চালিয়ে যাবে বিজিবি।
বিএসএফের সঙ্গে ডিজি পর্যায়ের আলোচনার জন্য দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরে এসেছিল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিজিবি-র প্রতিনিধি দল। গত ২৬-২৯ ডিসেম্বর দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান, দুষ্কৃতী কার্যকলাপ সহ ৪,০৯৬ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে ইসলাম জানিয়েছেন, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।