নয়াদিল্লি: মারধরের অভিযোগে ফের সেদেশে বসবাসকারী এক ভারতীয় দম্পতির পাঁচ বছরের ছেলেকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিল নরওয়ের। এই ঘটনার খবর জেনে নরওয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ট্যুইটে স্বরাজ জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকেই ওই শিশুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় নরওয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা-মাকে কিছুই জানানো হয়নি। পরে তাকে নরওয়ের রাজধানী ওসলো থেকে দেড়শ কিমি একটি শিশু কল্যাণ হোমে রাখা হয়।
শিশুটির মা গুরবিন্দরজিত্ কাউরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। শিশুটির বাবা অনিল কুমার একটি রেস্তোরাঁর মালিক। তিনি তাঁর সন্তানকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনিল কুমার আরও জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের হাঁফানির সমস্যা রয়েছে।  তিনি আরও বলেছেন, তাঁর ছেলেকে দেড়ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাকে মারধর করা হয় কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সে না বলেছে।
অনিল বলেন, এরপর পুলিশ তাঁর ছেলেকে অন্য একটি রুমে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে বলা হয় যে, তাঁর ছেলে পুলিশকে বলেছে, তাকে মারধর করা হয়।
২০১১ থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার নরওয়েতে ভারতীয় দম্পতির কাছ থেকে শিশুকে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটল। ২০১১ সালে বাঙালি দম্পতি অনুরূপ-সাগরিকার দুই সন্তান অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যাকে দেখভালের অভাবের অভিযোগে বাবা-মার সরিয়ে নেয় নরওয়ে প্রশাসন। পরে তত্কালীন ইউপিএ সরকারের হস্তক্ষেপে দুই শিশুকে দেশে ফেরানো হয়।
২০১২-তেও এক ভারতীয় দম্পতির কাছে থেকে তাঁদের দুই সন্তানকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের বাবা-মা-র কারাদণ্ডও হয়। শিশু দুটিকে হায়দরাবাদে তাদের দাদুর কাছে পাঠানো হয়।