২ তারিখ কিলিমাঞ্জারোর উহুরু শৃঙ্গে উঠেছে সামান্যু। সঙ্গে ছিলেন তার মা লাবণ্য, প্রশিক্ষক থাম্মিনেনি ভারত, সাঙ্গাবান্দি শ্রুজানা নামে এক পর্বতারোহী ও এক ভদ্রমহিলা। এঁরা সকলেই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। ছিলেন তানজানিয়ার এক স্থানীয় চিকিৎসকও।
২৯ মার্চ বেস পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে সামান্যুরা। ৫ দিন লাগে শৃঙ্গে পৌঁছতে। সামান্যু জানিয়েছে, শৃঙ্গে পৌঁছনোর দিন বৃষ্টি পড়ছিল, রাস্তা ছিল পাথরে ভর্তি। পায়ে ব্যথা হচ্ছিল তার, ভয়ও করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নিতে নিতে ওপরে পৌঁছে যায় সে। তার বরফ খুব ভাল লাগে, তাই কিলিমাঞ্জারোয় যেতে চেয়েছিল সে।
সামান্যু আরও বলেছে, তেলুগু নায়ক পবন কল্যাণ তার খুব প্রিয়। মা বলেছিলেন, বিশ্বরেকর্ড করার চেষ্টা করলে পবন কল্যাণের সঙ্গে তার দেখা করিয়ে দেবেন তিনি। এখন সে অপেক্ষা করছে প্রিয় নায়কের সঙ্গে দেখা করার জন্য। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ার একটি পর্বতে উঠবে সে বিশ্বরেকর্ড করার জন্য।
তৃতীয় শ্রেণির এই পড়ুয়া একই সঙ্গে বলেছে, শৃঙ্গে শৃঙ্গে চড়ে বেড়ায় বলে সে লেখাপড়ায় মোটেই অবহেলা করে না, তার প্রিয় বিষয় কম্পিউটার।
স্বাস্থ্যের কারণে কিলিমাঞ্জারোর চুড়োয় পৌঁছতে পারেননি সামান্যুর মা লাবণ্য, মাঝপথেই থেমে যেতে হয়। তবে ছেলের জন্য তিনি ভীষণ খুশি। জানিয়েছেন, মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার ১০টি শৃঙ্গে চড়ে বিশ্বরেকর্ড করার চেষ্টা করবে তাঁর ছেলে।