কাবুল: আজ সন্ধেয় আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ঘোষণা করল তালিবান। তাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির প্রধান মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ হবে আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিবানের প্রধান নেতা হেবাতুল্লা আখুন্দজাদা এই ঘোষণা করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব যাচ্ছে সিরাজুদ্দিন হক্কানির হাতে। মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরকে করা হয়েছে উপপ্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে মোল্লা ইয়াকুব। বিদেশমন্ত্রী হচ্ছে আমির মুত্তাকি।
যে জায়গা থেকে আফগানিস্তানে তালিবান গড়ে উঠেছিল, সেই কন্দহরের বাসিন্দা মোল্লা হাসান। তালিবানের নেতৃত্বে যে হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা হাসান। তালিবানের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা রেহবারি সুরা-র প্রধান পদে ২০ বছর কাজ করেছে মোল্লা হাসান এবং মোল্লা হেবতুল্লাহর ঘনিষ্ঠ হিসেবে মনে করা হয় তাকে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী ও উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছিল মোল্লা হাসান।
তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব হল আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষমন্ত্রী। ইয়াকুব মোল্লা হেবতুল্লার ছাত্র ছিল। এই হেবতুল্লা তাকে এর আগের সরকারে তালিবানের ক্ষমতাশালী নেতা কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছিল। তালিবান সূত্রের খবর, হক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান ও সোভিয়েত বিরোধী গোষ্ঠীর জালালুদ্দিন হক্কানির ছেলে সিরাজুদ্দিন হক্কানির হাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সিরাজুদ্দিনের নাম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। আমেরিকা তার সন্ধান দিতে পারলে ৫০ লক্ষ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০০৮-এ আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইকে হত্যার চক্রান্তে সে জড়িত ছিল।
তালিবান সূত্র উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতে জানানো হয়েছে, যার নাম সম্ভাব্য তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই মোল্লা জবিউল্লা মুজাহিদ হচ্ছে দেশের প্রধানের মুফপাত্র। গত সপ্তাহে তালিবান নতুন সরকার গঠন স্থগিত করে দিয়েছিল। কারণ, তারা আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য ব্যাপক ও অংশীদারিত্বযুক্ত সরকার গঠনের জন্য আলোচনা করছিল।