কাবুল: ফের কাবুল বিমানবন্দরে চলল গুলি। আফগান বাহিনীর সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের গুলির লড়াই চলে। একজনের মৃত্যু হয়, আহত হয়েছে আরও ৩ জন। জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তি আফগান সেনা। ত্রাসের দেশ আফগানিস্তান ছাড়তে আজও ভিড় জমেছে কাবুল বিমানবন্দরে। তার মধ্যেই ফের একবার গুলি চলার ঘটনা ঘটল সে-দেশে।



সন্ত্রাস-আতঙ্কে কাবুল ছাড়তে হুড়োহুড়ি চলছেই। রবিবারও কাবুল বিমানবন্দরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তালিবান। দেশ ছেড়ে পালানোর তাগিদ ও গুলির হাত থেকে বাঁটতে পদপিষ্ট হয় ৭ আফগান নাগরিক। তালিবানের দাবি, ভিড় হঠাতে গুলি চালায় তারা । কাবুল বিমানবন্দরে ৭ দিনে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানাল ন্যাটো।


তালিবান-দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষ। কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশে মানুষের ভিড় জমেছে। বিমানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিদিন চলছে হুড়োহুড়ি। বিমানবন্দরের গেট খুলে দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানাচ্ছেন বহু মানুষ। ভিড় সামলাতে নাজেহাল ন্যাটো বাহিনী, ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনা , তবু তারা কর্তব্যে অবিচল। তবু এরই মধ্যে গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু ও মহিলাদের হাতে তারা তুলে দিচ্ছে জলের বোতল। 


এরই মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিল তালিবান। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ৩১শে অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করা হবে। নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে মার্কিন সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেওয়া সময়সীমা উল্লেখ করে তালিবানের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এরপরও মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে থাকলে আমেরিকাকে তার ফল ভোগ করতে হবে। ব্রিটেনকেও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে একই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবান। 



অন্যদিকে চোখে চোখ রেখে প্রতিরোধ গড়ছে পঞ্জশির। গোটা আফগানিস্তানের দখল নিলেও হিন্দুকুশ পর্বতের কোলে এই উপত্যকা দখলে বারবার পিছু হঠছে তালিবান। এর মধ্যেই বাগলান প্রদেশের দখল নিয়েছে তালিবান-বিরোধী আহমেদ মাসুদের বাহিনী। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহত তিনশোরও বেশি তালিবান। অন্যদিকে, লড়াই জারি রেখেই তালিবানকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন আহমেদ মাসুদ। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, মাথা নত করার প্রশ্নই নেই। উল্টে তালিবানকে সমঝোতার টেবিলে আনতেই তাঁদের লড়াই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিদ্রোহী নেতা। এদিকে, পঞ্জশিরে প্রতিরোধের দেওয়াল ভাঙতে মরিয়া তালিবানও। শয়ে শয়ে তালিবান পঞ্জশিরের দিকে রওনা দিয়েছে। কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত মাসুদ বাহিনীও।