ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার দাবি করেছেন যে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার যে অভিযান তা "ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে কঠিন কাজের মধ্যে একটি"। সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সব আমেরিকান নাগরিককে সরিয়ে আনবেন।


তবে সেখানে যা পরিস্থিতি এই মুহুর্তে সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অভিযানের "চূড়ান্ত ফলাফল" কি হবে এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না তিনি। বাইডেন বলেন যে  আমেরিকা আফগানদের উদ্ধার করতেও "প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"। তাঁর কথায়, আফগানরা প্রায় ২০ বছর ধরে আমেরিকান সেনাদের সঙ্গে একযোগে তালিবানের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। হোয়াইট হাউস থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের পাশে তালিবানরা দাঁড়াতে চাইলে, তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া অন্যান্য সাহায্যেরও দরকার হবে। ওরা দেখতে চাইছে কোনও দেশ ওদের স্বীকৃতি দেয় কি না। ওরা আমাদের পাশাপাশি অন্য দেশকেও বলেছে। ওরা চায় না, আমরা কূটনৈতিক উপস্থিতি সরিয়ে নিই। এখনও পর্যন্ত তালিবানরা আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।


বাইডেন বলেন, "কোনও আমেরিকান দেশে আসতে চাইলে, আমরা তাঁদের অবশ্যই ফিরিয়ে আনব কিন্তু কোন ভুল করা যাবে না এখানে। এই অভিযান অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এটি কঠিন পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, ১৪ অগস্ট থেকে মার্কিন সামরিক বিমানের মাধ্যমে প্রায় ১৩ হাজার নাগরিককে সরিয়ে আনা হয়েছে। আর শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারেই ৫৭০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


৩১ অগাস্টের মধ্যে এই কাজ শেষ করার জন্য জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে প্রয়োজন পড়লে সময়সীমা আরও বাড়াতে চান তিনি। রবিবার হোয়াইট হাউজে তিনি এসব কথা বলেন।মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করতে বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।


এদিকে, আফগানিস্তান থেকে আজ দেশে ফিরলেন ১৪৬ জন ভারতীয়। এখনও আটকে রয়েছেন অনেকে। সোমবার কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও ভিস্তারার বিমানে দেশে ফেরেন ১৪৬ জন। কাতারের সহযোগিতায় কাবুল থেকে তাঁদের প্রথমে দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরানো হয় ভারতে। এদের মধ্যে রয়েছেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মী।