কাবুল: আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকাই তালিবান দখলে। কিন্তু এখনও অধরা পঞ্জশির। সে অঞ্চল দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান। ক্রমেই তীব্র হচ্ছে সংঘর্ষ। মার্কিন সেনা ফিরে যেতে ক্রমেই পঞ্জশির দখলের চেষ্টায় মরিয়া হচ্ছে তালিবান। চলছে প্রবল লড়াই। জানা যাচ্ছে, অন্তত ৩৫০ তালিবান নিহত হয়েছে।
পঞ্জশিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে তালিবান ও ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের। এই লড়াইকে আরও মজবুত করতে ইসলামী চরমপন্থী আল-কায়দার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তালিবান, এমনটাই জানিয়েছে TASS। আল-আরাবিয়া টিভি চ্যানেল এক প্রতিনিধিকে উধৃত করে জানিয়েছে "আল-কায়দার জঙ্গি ইউনিটগুলি পঞ্জশির আক্রমণে তালিবানদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।"
ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের মুখপাত্র ফাহিম দাশতি আরও জানান যে ফ্রন্ট শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু তালিবানদের হামলার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আফগানিস্তান উপত্যকায় পঞ্জশির সংঘর্ষের বিষয়ে উদ্বিগ্ন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। শুক্রবার দুই বাহিনীকে যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করতে বলেছেন।
এর আগেই পঞ্জশিরে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় তালিবান। আমেরিকার সেনা কাবুল ছাড়ার পর পঞ্জশির দখলে আরও উত্সাহী হয়েছে তালিবান। সূত্রের খবর, সোমবারই পঞ্চশিরের একটি আউটপোস্ট আক্রমণ করে তালিবান। কিন্তু নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের দাবি, সেই আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। আফগানিস্তানে একমাত্র পঞ্জশির প্রদেশই তালিবানের হাতের বাইরে রয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে আফগানিস্তান দখলের জন্য তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা। মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া আল কায়দার মতে অপমানজনক পরাজয়। ধর্মযুদ্ধে তালিবানের জয় জেহাদিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। একইসঙ্গে কাশ্মীরকে ইসলাম-বিরোধীদের কবল-মুক্ত করার ডাক দিয়েছে আল কায়দা। আফগানিস্তান তালিবান দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারতের।আল-কায়দার এই বিবৃতি কাশ্মীরে জঙ্গি তত্পরতা নিয়ে আরও বেশি আশঙ্কা তৈরি করল।