নিউইয়র্ক: হ্যারিকেন ইদার দাপটে বিপর্যস্ত আমেরিকার নিউইয়র্ক। ইদার প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাতে হড়কা বানে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার ফলে বহু গাড়ি জলের তলায় ডুবে যায়। বিভিন্ন বাড়িতেও জল ঢুকে যায়। নিউইয়র্কে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এত মানুষের মৃত্যু কার্যত নজিরবিহীন। এই ঘটনার জন্য আধিকারিকরা জলবায়ুর পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন। যাঁরা বাড়ির বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বন্যার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন।
রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে নিউউইয়র্ক শহরে নজিরবিহীনভাবে হড়কা বানের সতর্কতা জারি হয়। প্রবল বৃষ্টিতে সেখানকার রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে যায়। সাবওয়ে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, সাবওয়ে স্টেশনগুলিতে প্ল্যাটফর্ম দিয়ে জল লাইনে জমে যায়।
মেটোডিজা মিহাজিলোভের ম্যানহাটান রেস্তোরাঁও জলে থৈ থৈ করছে। প্রায় তিন ইঞ্চি জলের জলার চলে গিয়েছে রেস্তোরাঁ। মিহাজিলোভ বলেছেন, আমার ৫০ বছর বয়স। কিন্তু এত বৃষ্টি কখনও দেখিনি।
সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছিল যেন জঙ্গলে রয়েছি। ক্রান্তীয় বৃষ্টির মতো। অবিশ্বাস্য। এ বছর তো সব কিছুই আশ্চর্যনক।
লা গার্ডিয়া ও জেকেএফ বিমানবন্দরে কয়েকশো উড়াল বাতিল করে দিতে হয়। নেওয়ার্কেও ছিল একই অবস্থা। সেখানে টার্মিনাল জলের তলায় চলে যায়। এর একটি ভিডিও সামনে এসেছে।
দক্ষিণের রাজ্য লুইসিয়ানায় সফরের আগে শুক্রবার জো বিডেন বলেছেন, আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি। সারা দেশ সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। লুইসিয়ানাতেও ইদার দাপটে বহু বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বন্যার ফলে নিউ জার্সি, ও ম্যানহাটন, ব্রোঙ্কস, কুইন্স বোরো সহ নিউইয়র্কের প্রধান সড়কগুলি বন্ধ হয়ে যায়। বহু গাড়ি জলে ডুবে যায়। ফলে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারের কাজে নামতে হয় কর্তৃপক্ষকে। নিউ জার্সিতে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ফিল মার্ফি। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের অধিকাংশই তাঁদের গাড়িতে আটকে পড়েছিলেন।
নিউইয়র্ক শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে. তাঁদের মধ্যে ১১ জন বেসমেন্ট থেকে বেরোতে পারেননি। পুলিশ এমনই জানিয়েছে। নিহতদের বয়স ২ থেকে ৮৬-র মধ্যে।