নয়াদিল্লি:   রাষ্টপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council-UNSC) সন্ত্রাস সংক্রান্ত  বিবৃতিতে হঠাৎ উধাও ‘তালিবান’ (Taliban)শব্দটি।  ১১ দিনের মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদের  বিবৃতি থেকে উধাও ‘তালিবান’। কাবুল পতনের পর ১৬ অগাস্ট বিবৃতি দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘তালিবান বা কোনও আফগান গোষ্ঠীর উচিত নয় জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়া।’


কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের পর বিবৃতি থেকে উধাও ‘তালিবান’ শব্দ।  ২৭ অগাস্ট ওই একই বিবৃতি থেকে উধাও তালিবান শব্দটি। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও আফগান গোষ্ঠী বা ব্যক্তির সন্ত্রাসে মদত দেওয়া উচিত নয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এই বিবৃতি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। দুটি বিবৃতি তুলে ধরে ট্যুইট বিদেশমন্ত্রকের প্রাক্তন মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিনের ট্যুইট, ‘কূটনীতিতে এক পক্ষকাল দীর্ঘ সময়’। 


গত ২৬ অগাস্ট কাবুলের (Kabul)হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের নিন্দা করে নিরাপত্তা পরিষদের আফগানিস্তান (Afghanistan)সংক্রান্ত বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদে তালিবানের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে আফগান গোষ্ঠীগুলিকে সেদেশে তৎপর সন্ত্রাসবাদীদের মদত না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।  ২৭ অগাস্টের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের কথা পুণরায় উল্লেখ করছে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি। অন্য কোনও দেশকে বিপদের মুখে ফেলা বা হামলা চালানোর কাজে আফগানিস্তানের ভূখণ্ডকে যাতে ব্যবহার না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেদেশে তৎপর জঙ্গিদের কোনও ব্যক্তি বা আফগান গোষ্ঠী যেন মদত না দেয়। 


ওই অনুচ্ছেদে তালিবান প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হয়েছে, যা নিরাপত্তা পরিষদের ১৬ অগাস্টের বিবৃতিতে ছিল।  ২৬ অগাস্টের বিস্ফোরণে ১৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০০। ওই হামলার দায়স্বীকার করেছিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)।


Kabul Blast Update: কাবুল বিমানবন্দরের কাছে ফের বিস্ফোরণ, মৃত এক শিশু সহ ২