কাবুল: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ফের বিস্ফোরণ। কাবুল বিমানবন্দরের কাছে চারদিনের মাথায় ফের বিস্ফোরণ। মৃত এক শিশু সহ ২। এই বিস্ফোরণে আহত অন্তত তিনজন। বিস্ফোরণের দায়স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ড্রোন হামলায় বিস্ফোরণের মূল চক্রীকে হত্যার দাবির পর এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাইডেন। আইএসের খোরাসান গোষ্ঠী বদলা নেবে, আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে ফের কাবুল বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ হল। কাবুল বিমানবন্দরের কাছে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় রকেট-হামলা হয়। তার ফলেই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের কাছে কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
চারদিন আগে কাবুল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছিল আইএসের খোরাসান গোষ্ঠী। এবারের বিস্ফোরণের পিছনেও তারাই রয়েছে বলে দাবি।
আজ বড়সড় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাবুল বিমানবন্দরের কাছে খাওয়াজা বুঘরা অঞ্চলে রকেট হামলা হয়। একটি বাড়িতে গিয়ে রকেটটি লাগে। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, যে বাড়িটিতে গিয়ে রকেট লেগেছে, সেই বাড়িটি থেকে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
এদিকে, কাবুলে আইএস খোরাসান জঙ্গিকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাড়িতে আত্মঘাতী জঙ্গিকে লক্ষ্য করে হানা মার্কিন বাহিনীর। কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালাতে যাচ্ছিল ওই আত্মঘাতী জঙ্গি। তবে তার আগেই তাকে লক্ষ্য করে হানা মার্কিন বাহিনীর। দুই মার্কিন আধিকারিককে উদ্ধৃত করে খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের।
কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে আটকে রয়েছেন ২০ জনেরও বেশি ভারতীয়। সূত্রের খবর, নাশকতার সতর্কবার্তা জারি থাকায় এই মুহূর্তে কাবুলে পাঠানো যাচ্ছে না ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে ৩১শে অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ডেডলাইন থাকায় আমেরিকা মার্কিন নাগরিকদেরই অগ্রাধিকার দেবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।