নয়াদিল্লি :  মাত্র ৪ দিন আগেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ আফগানিস্তান ( Afghanistan Earthquake)। এক বার নয়, পর পর তিন বার কম্পন অনুভূত হয়। সেই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চার হাজারেরও বেশি মানুষ ( বেসরকারি সূত্রে )। বহু গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়েছে হাজার হাজার বাড়ি। তারপর আবারও বুধবার সকালে আবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান।


ভূমিকম্পটি হয়েছে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় । রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৩। আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা ( According to the United States Geological Survey ) সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১০মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হেরাট শহর থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এর প্রভাবও ১২ হাজার মানুষ বুঝতে পারবেন বলে ধারণা। কিন্তু এখনও হতাহতের খবর মেলেনি। 


শনিবার প্রথম কম্পনের বেশ কয়েকটি মআফটার শক হয়। এবার কোনও  ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন হয় কিনা সেই আতঙ্কে রয়েছে হেরাট প্রদেশের মানুষ। শনিবার কম্পনের পর স্থানীয় ও জাতীয় সরকারি আধিকারিকরা  ভূমিকম্পে নিহত ও আহতের সংখ্যার বিষয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য দিয়েছেন। তবে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে এ পর্যন্ত অন্তত২৪৪৫ জন মারা গিয়েছেন । যদিও বেসরকারি হিসেব বলছে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। 


শনিবার পর পর শক্তিশালী তিন ভূমিকম্প হয় । তার পর আট-আটটি আফটার শক। তাতেই ধুলোয় মিশে গিয়েছে  আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শনিবার দুপুরে আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। পর পর তিন বার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল যথাক্রমে, ৬.২, ৫.৬ এবং ৬.১। এর পর আবার আট-আটটি আফটার শক অনুভূত হয়। তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বাড়িঘর সব ধুলোয় মিশে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তছনছ হয়ে যায় সবকিছু। যে হেরাট প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটি ভূমিকম্পপ্রবণ বলেই পরিচিত। প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের বসবাস সেখানে। ওই এলাকা মানুষ বাসের অনুপযোগী বলে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। শক্তিশালী ভূমিকম্পে সেখানকার ১২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছ’টি গ্রাম ধুলোয় মিশে গিয়েছে একেবারে। ঘরছাড়া প্রায় ৪,৫০০ মানুষ। ভূমিকম্পের পর লন্ডভন্ড হয়ে যায় চারিদিক। টেলিফোন সংযোগও কাজ করেনি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে খবর পেতে দেরি হয়। ধ্বংসস্তূপের নীচেও অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।