কাবুল: সকাল সকাল তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান (Afghanistan News)। রাজধানী কাবুলের (Kabul Blast) একটি স্কুলে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আট জন শিশুও। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সদ্য স্কুলের ক্লাস শেষ হয়েছিল। বাড়ি যাওয়ার জন্য গেটের বাইরে পা রাখতে শুরু করেছিল পড়ুয়ারা। তখনই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। 


ফের নাশকতামূলক হামলা কাবুলে


কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান টুইটারের মাধ্যমে জানান, দাস্তে বারচি এলাকায়  আবদুল রহিম শহিদ হাইস্কুল চত্বরে পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আত্মঘাতী জঙ্গিরাই এই বিস্ফোরণ ঘটায় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। 



মঙ্গলবার যে স্কুলের চত্বরে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছে, সেটি মূলত শিয়া অধ্য়ুষিত। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুলের অদূরে একটি কোচিং সেন্টার ছিল। ওই কোচিং সেন্টারটিকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোড়া হয়। 


তিন-চার জন জঙ্গি মিলে এ দিন হামলা চালায় বলে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে পুলিশ। জঙ্গিরা ওই স্কুলের ক্লাসরুমেও ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় স্কুলে প্রায় হাজার খানেক পড়ুয়া ছিল বলে খবর।



আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: নিশানায় ইউক্রেনের লাভিভ শহর, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে মৃত্যু ৭ জনের


দুপুর পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন


যে দাস্তে বারচি এলাকায় এ দিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সেটি মূলত শিয়া-হাজারা অধ্যুষিত আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু মানুষের বাস সেখানে। এই শিয়া-হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষকে লক্ষ্য করে প্রায়শই নাশকতামূলক হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট-সহ সুন্নি জঙ্গি সংগঠনগুলি। এখনও পর্যন্ত এ দিনের হামলার দায় নেয়নি কোনও সংগঠন।


দীর্ঘ দু'দশক পর মার্কিন এবং ন্যাটো যৌথবাহিনী দেশ ছাড়তে শুরু করলে, গত বছর ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। দেশে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য বলে বরাবর দাবি করছে তালিবান সরকার। কিন্তু তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর অশান্তি আরও বেড়েছে। তালিবানের প্রতিপক্ষ হিসেবে সেখানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ISIS-এর মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন। গত এখ বছরে কাবুলে একাধিক বার নাশকতা চালিয়েছে তারা।