কাবুল : আফগানিস্তানে তালিবানি 'আগ্রাসনে' বড়সড় প্রতিরোধ। মার্কিন বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচশোরও বেশি জঙ্গির। শেবারগন শহরে তালিবানি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে এই বিমান হানা। 


আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, ২৪ ঘণ্টায় দুই আফগান প্রদেশের রাজধানী দখল করে নিয়েছিল তালিবান। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছিল আফগান সরকারের। শনিবারই পাল্টা হামলায় যার জবাব দিয়েছে মার্কিন সেনা। নিজেই ট্যুইট করে তালিবান ধ্বংসের এই খবর জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক ফাওয়াদ আমন। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ''গত ২৪ ঘণ্টায় পাল্টা আক্রমণে ৫৭২ জন তালিবানি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০৯ জন। লগমন, নানগহর, গজনি, পকশিয়া, হেলমন্দ ,কান্দাহার, নিমরুজ, তকাহার, কপিসা প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে।''


জজানের শেবারগন শহরের তালিবানি ঘাঁটি গুড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন বিমান। এই এয়ার স্ট্রাইকের ফলে তালিবানিদের প্রচুর অস্ত্র ভাণ্ডার, ছাড়াও প্রায় শতাধিক গাড়ি ধ্বংস হয়েছে।


কাকতালীয়ভাবে শনিবার বিকেলের দিকেই জজান প্রদেশের রাজধানী শেবারগনের দখল নিয়েছিল তালিবান জঙ্গিরা। যার এক ঘণ্টার মধ্যেই চলে এই হামলা। এর আগে আরও এক আফগান প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ দখল করেছিল তালিবানিরা। মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পরই আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে তালিবান। ৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগান ভূখণ্ড ছাড়বে মার্কিন সেনা। তার আগে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত বাণিজ্যিক বিমান ধরতে বলা হয়েছে। 


শুক্রবারই দখল করে নেওয়া হয় আফগান প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ডেপুটি গভর্নর রুহ গুল খ্যারজাদ জানান, নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী জরঙ্গ এখন তালিবানিদের হাতে। দক্ষিণ-পশ্চিম আফগানিস্তানের এই অঞ্চল ইরানের সীমান্ত লাগোয়া। সেখানে যুদ্ধ ছাড়াই জিতে গিয়েছে তালিবানরা। 


সম্প্রতি আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধান দাওয়া খান মীনাপালকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তালিবানরা। কদিন আগেই তালিবানি ঘাঁটিতে বিমান হানা বাড়ানোর জন্য সরকারকে হুঁশিয়ার করেছিল জঙ্গিরা। এর জন্য প্রশাসনের মাথাদের ভুগতে হবে বলেছিল তারা। মীনাপালকে হত্যা করে এবার বিমান হামলার বদলা নিল তালিবানিরা।