নয়াদিল্লি: ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত লাহৌরের আকাশে ২৯ হাজার ফুটের নীচে কোনও বিদেশি সংস্থার উড়ান দেখা যাবে না। সরকারের নির্দেশেই বিমানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হওয়াতেই পাক সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।


উরি হামলার পরে ভারতের প্রত্যাঘাত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আরও আক্রমণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার। সেই কারণেই প্রথমে করাচিতে ৩৩ হাজার ফুটের নীচ দিয়ে ওড়া বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর লাহৌরেও এই নিষেধাজ্ঞা জারি হল। প্রায় গোটা দেশেই বিমানের উপর বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।

ভারতের একটি বিমান সংস্থার কমান্ডার বলেছেন, পাক সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে পাকিস্তানের উপর দিয়ে পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপে যে উড়ানগুলি যায় সেগুলিকে ঘুরপথে যেতে হবে। ফলে বেশি সময় লাগবে। অপর এক কমান্ডার বলেছেন, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই কারণেই নিচু উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করাচি থেকে রাজস্থান ও গুজরাত সীমান্ত বেশি দূরে নয়। লাহৌর আবার জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের কাছে অবস্থিত। লাহৌরেই পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।

ভারতের বেশিরভাগ বিমানই পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপ-আমেরিকায় যায় পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে। সেই কারণে সমস্যায় পড়বে তারা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সরকারি বিমানসংস্থাকে ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি আর দেওয়া কি না, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।