ওয়াশিংটন: প্রশাসনে সেনাবাহিনীর নাক গলানোর ফলে পাকিস্তানে কোনওদিন গণতন্ত্রের পরিবেশ তৈরি হয়নি। এমনই দাবি করলেন পারভেজ মুশারফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানে তথাকথিত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের ব্যর্থতার ফলে সেনাবাহিনী প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করে চলেছে। দেশের সংবিধানই গণতন্ত্রের উপযোগী নয়। সেই কারণেই যখন প্রশাসনিক অপদার্থতার ফলে আর্থসামাজিক দিক থেকে পাকিস্তান পিছিয়ে পড়ে, তখনই দেশের মানুষ সেনাপ্রধানের দ্বারস্থ হন। এভাবেই সরকারের কাজে নাক গলানোর সুযোগ পেয়ে যায় সেনাবাহিনী।’


দেশের জন্মের পর থেকে বেশ কয়েকবার সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী থেকেছে পাকিস্তান। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরেই নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন মুশারফ। তিনি সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘সেনার প্রতি পাকিস্তানের মানুষের ভালবাসা ও সমর্থন আছে। তাঁরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনেক কিছু চান। তাই আমি ৪০ বছর ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। আমি দু বার যুদ্ধ করেছি। আমি সেনাবাহিনীর বিষয়ে সব জানি। পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামোর জন্যই সেনাবাহিনীকে প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করতে হয়।’

মুশারফ আরও বলেছেন, ‘উরি হামলার পর ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়ার জবাবে পাকিস্তানেরও পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়া উচিত ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সেনাপ্রধান এবং ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস তাঁদের ঠিক করা সময় ও জায়গায় আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন। এটা গুরুতর বিষয়। পাকিস্তানেরও পাল্টা হুঁশিয়ারি দেওয়া উচিত।’

ভারতই সবসময় যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে বলেও অভিযোগ করেছেন কার্গিল যুদ্ধের কারিগর মুশারফ। তাঁর দাবি, পাকিস্তান কোনও সময়ই যুদ্ধের ভয় দেখায় না। ভারতেই সবসময় যুদ্ধ নিয়ে হিস্টিরিয়া তৈরি হয়।