মিনা (নাইজিরিয়া): ৯৩ বছর বয়সে মারা গেলেন নাইজিরিয়ার বিতর্কিত ধর্মযাজক বাবা আবুবকর মাসাবা। রেখে গেলেন ১৩০ স্ত্রী এবং ২০৩ সন্তান! হ্যাঁ, ঠিকই পড়লেন।


পুরো নাম আলহাজি মহম্মদ আবুবকর বেলো মাসাবা। খবরে প্রকাশ, নাইজার প্রদেশের বিড়াতে গত শনিবার মারা যান মাসাবা। মৃত্যুর কারণ অবশ্য জানা যায়নি।


তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মুতাইরু সালাউদ্দিন বেলো জানান, তাঁর মালিক নিজের বাড়িতেই মারা গিয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। যদিও, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।


গোটা আফ্রিকা, বিশেষ করে নাইজিরিয়াতে আবুবকর মাসাবা এক বর্ণময় এবং বিতর্কিত এক চরিত্রের নাম। ২০০৮ সালে শরিয়া আদালত তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল, তৎকালীন ৮৬ জন স্ত্রীর মধ্যে ৮২ জনকে বিচ্ছেদ দিতে।


আদালতের মতে, কোনও ইসলাম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি একসঙ্গে চারজনের অধিক স্ত্রী রাখতে পারেন না। কিন্তু, মাসাবা জানিয়ে দেন, তিনি কোনও ধর্মীয় সীমা লঙ্ঘন করেননি।


উল্টে, তিনি কোরানের ব্যাখ্যা করে বলেন, একজন যত খুশি বিয়ে করতে পারেন। তাঁর আরও দাবি ছিল, ঈশ্বর না কি তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিয়ে করেই যেতে!



ফলস্বরূপ, তাঁকে আটক করা হয়। সেই সময় বিচার মন্ত্রকের দফতরের সামনে দিনের পর দিন ধর্না দিয়েছিলেন ৮৬ স্ত্রী ও ২০ সন্তান। প্রসঙ্গত, তখন মাসাবার ১৭০ সন্তান ছিল। প্রবল চাপে, বাধ্য হয়ে মাসাবার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে যায়।


সালাউদ্দিন বেলো জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে মাসাবা তাঁকে বলেন, আমার সময় হয়ে গিয়েছে। আমার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার আমি আমার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করব।


বেলো আরও জানান, সারা জীবনে কোনওদিন ওষুধ খাননি মাসাবা। কাউকে ওষুধ খাওয়ার সুপারিশও করেননি। তিনি যোগ করেন, মাসাবার মৃত্যুর সময় তাঁর সকল স্ত্রী ও সন্তানরা পাশে ছিলেন।


শেষ দিন পর্যন্ত ২০৩ সন্তানের জনক ছিলেন ‘বাবা’ (ভালবেসে তাঁকে এই নামে ডাকা হত) মাসাবা। তবে, এখানেই শেষ নয়। জানা গিয়েছে, মাসাবার ১০৩ স্ত্রীর মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।