ইসলামাবাদ:  জীবন কখন কার জন্যে কী নিয়ে অপেক্ষা করছে কেউ জানেন না। গতমাসেই পাকিস্তান থেকে একরত্তি শিশুটি ভারতে এসেছিল অস্ত্রোপচার করাতে। চার মাসের শিশুর হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার সফলও হয় এখানে এসে। সেসময় ছোট্ট রোহন সাদিককে মেডিক্যাল ভিসা পেতে সাহায্যও করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সবকিছু হয়ে যাওয়ার পর নিজের দেশে ফিরে গিয়েছিল রোহন, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সামান্য ডিহাইড্রেশনের জেরে আর বাঁচানো গেল না তাকে।

গত ১৪ জুলাই, নয়ডার জেপি হাসপাতালে সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল রোহনের অস্ত্রোপচার। কিন্তু গতরাতে সামান্য ডিহাইড্রেশন কেড়ে নিল তাকে। ছেলের মৃত্যুর পর বিষণ্ণময় একটি টুইট করে এই দুঃখের খবরটি সকলকে জানিয়েছেন, রোহনের বাবা কানওয়াল সাদিক।





এই বছরের শুরুতে রোহনের বাবা-মা জানতে পারেন, তাদের ছেলের হৃদযন্ত্রে একটি ফুটো আছে। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রোহনের বাবা ভাল চিকিত্সা পরিষেবার জন্যে একরত্তিকে ভারতে নিয়ে আসেন। প্রথমে ভারত-পাক অস্থির সম্পর্কের মাঝে পরে রোহনকে এখানে আনতে কিছুটা দেরি হয়ে যায় তার বাবার। তখন ব্যাকুল হয়ে কানওয়াল পাক বিদেশমন্ত্রী সরতাজ আজিজ এবং সুষমা স্বরাজকে টুইট করেন। সেসময় তত্ক্ষনাত্ সুষমা তাঁর টুইটের জবাব দেন এবং ছোট্ট রোহনকে ভারতে আনার সবধরনের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর সেই জটিল অস্ত্রোপচারটি এখানে এসে সফল হলে, কানওয়াল লেখেন, আমার সন্তানের হৃদযন্ত্র আজ সচল রয়েছে ম্যাডাম সুষমা স্বরাজের জন্যে। তারপর তিনি এদেশের বিদেশমন্ত্রীকে নিজেই অনুরোধ করেন, যেন পাকিস্তান থেকে এদেশে মেডিক্যাল ভিসায় আসতে চাওয়া মানুষগুলো অনয়াসে ভারতে আসতে পারেন, সেদিকে একটু লক্ষ্য রাখতে। তবে ছেলে চলে যাওয়ার পরও ভারতকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি কানওয়াল।