বেজিং: ভারত সফর শুরুর মুখে বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর নজর রাখছেন এবং পাকিস্তানের মৌলিক স্বার্থের বিষয়গুলিতে তাদের সমর্থন করবেন বলে জানিয়ে দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চিনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়ার প্রতিবেদনে প্রকাশ, বেজিংয়ে আলোচনার মধ্যে তিনি ইমরানকে বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কে ঠিক, কে ভুল, সেটা পরিষ্কার। ভারত ও পাকিস্তান, দুপক্ষকেই শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে বিতর্কের মীমাংসা করতে হবে। চিনা প্রেসিডেন্ট ইমরানকে এই আশ্বাস দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির বদল ঘটলেও চিন ও তার সবসময়ের বন্ধু পাকিস্তানের সম্পর্ক ‘পাথরের মতো শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে’ এবং তা ‘অটুট’, ‘ভাঙবে না’। তাঁকে উদ্ধৃত করে জিনহুয়া বলেছে, চিন-পাকিস্তান সব মরসুমের কৌশলগত সহযোগিতার শরিক। চিন নতুন যুগে আগামী ভবিষ্যতে চিনা-পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলায় পাকিস্তানের সঙ্গে চলতে তৈরি। চিন-পাক সহযোগিতা সর্বদা শক্তিশালী প্রাণরস বজায় রেখেছে।

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই আজ ইমরান, শি-র এই বৈঠক হল। গত বছর আগস্টে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর এই নিয়ে তৃতীয়বার চিন সফরে গেলেন ইমরান।
শি শুক্রবার ভারত সফরের প্রাক্কালে এই বক্তব্য জানিয়েছেন। তিনি ওইদিন দুপুরে চেন্নাইয়ে আসছেন। সেখান থেকে ৫০ কিমি দূরে মহাবলিপুরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক ১১-১২ অক্টোবর। সেখানে দুই নেতা ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজ সাইটও পরিদর্শন করবেন।
প্রসঙ্গত, বরাবর চিন পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থনই করেছে। সম্প্রতি চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ভাষণে বলেছেন, এমন কোনও পদক্ষেপই করা উচিত নয়, যা একতরফা স্থিতাবস্থা বদলে দেবে। যদিও চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং গতকাল বলেন, কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান হওয়া উচিত ভারত, পাকিস্তানের মধ্যেই। রাষ্ট্রপু্ঞ্জ ও নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি চিন যেসব কথাবার্তা বলেছে, তার উল্লেখ করেননি তিনি।