ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন্সিক মেডিসিনের তরফে দেহগুলির ওপর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই টিমের প্রধান ডক্টর আলি আব্বাস বাগদাদ থেকে ফোনে জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটা দেহে গুলির চিহ্ন ছিল মাথায়। কারণ, যে সময় ওই টিমের কাছে দেহগুলি আসে, তখন সেগুলো কঙ্কাল মাত্র। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই তিনি বুঝতে পারেন, এক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে সেই মানুষগুলির।
যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সংসদে বুধবারই এক বিবৃতি দিয়ে জানান, ইরাকে ৩৯ জন কারখানার শ্রমিক প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়েছে। তারপরই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এদেরকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার উত্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাজ বলেন, ছ মাস না দু বছর আগে মৃত্যু হয়েছে, সেটা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ, মসুল আইএস-এর কব্জায় ছিল। ৯ জুলাই মুক্ত হয়, ১০ জুলাই সেখানে যান জেনারেল ভি.কে.সিংহ।
প্রসঙ্গত, আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা হরজিত মাসির দাবি ছিল, সেখানে ৩৯ জন ভারতীয়কে দাঁড় করিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। কিন্তু একথার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ ছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের। তাদের দাবি, কোনও সঠিক প্রমাণ ছাড়া, কাউকে মৃত ঘোষণা করা যায় না। আপাতত সরকারি সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেহাবশেষগুলি ভারতীয় প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে একটি পৃথক বিবৃতি জারি করে মঙ্গলবারই ইরাকের ফরেন্সিক টিমকে ধন্যবাদ জানানো হয় ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।