যে ছেলে ছিল ক্লাসের সেরা, অঙ্কে দারুণ মাথা, ফুটবল-পাগল, কট্টর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ভক্ত, সে কী করে, কবে-কখন রক্তলোলুপ খুনে-বাহিনীতে নাম লেখাল, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। রোহন গত ডিসেম্বরে বাড়ি ছাড়ে, তারপর ঢাকার রেস্তোরাঁয় হামলার আগে পর্যন্ত তাকে একবারের জন্যও দেখা যায়নি। বাবুল বলেছেন, আইএসআইএসের প্রকাশ করা একটি ছবি দেখে ওকে শনাক্ত করি। আমি বিস্মিত, বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। ছেলের বন্দুক হাতে ধরা সেই ছবি তাঁকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়, তাহলে ৬ মাস কোথায় ছিল ও! কোথায়, কীভাবে মগজধোলাই হয়েছে ছেলের, সন্ত্রাসবাহিনীর আজ্ঞাবাহী দাসে পরিণত হয়েছে সে? উত্তর খুঁজছেন তিনি।
কেমন ছিল সে? বাবুল বলেছেন, অল্প বয়স থেকেই দিনে ৫ বার প্রার্থনা করত ও। কল্পনাও করিনি, সে-ই ছেলে এমন বদলে যাবে। তেমন কোনও ইঙ্গিতও ছিল না। বাড়িতে এমন কোনও বই বা অন্য কিছু দেখিনি যা থেকে বোঝা যেত।
হোলি আর্টিজান বেকারিতে পণবন্দিদের মুক্ত করতে অভিযানে যাওয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় রোহন। ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার দু দিন পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবুল। রোহনের মোবাইল সুইচড অফ পাওয়া যায়। সোস্যাল মিডিয়া থেকেও উধাও হয় সে।
ঘটনাচক্রে তিনি সে সময় চিকিত্সার জন্য কলকাতায় ছিলেন বলে জানান বাবুল।