নয়াদিল্লি ও বেজিং: চিন সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সিকিমে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
সূত্রে খবর, চিন-সীমান্তবর্তী সিকিমে সেনার ফর্মেশন সদর দফতর রয়েছে। আগামীকাল, সেখানেই সেনার কাজকর্ম নিয়ে শীর্ষ কম্যান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাওয়াত।
বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে রাওয়াতের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চলতি মাসের গোড়া থেকে সিকিম সীমান্তে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে তীব্র সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে ভারতের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে ২২০ কিলোমিটার সীমান্ত সিকিমে পড়েছে।
সংঘাতের সূত্রপাত ডংল্যাং অঞ্চল – যা আকারে ছোট হলেও ভারত, ভূটান ও চিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশনগত অবস্থান। চিনের অভিযোগ, ভারতীয় সেনা সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে, বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী বাঙ্কার গড়েছে ভারতীয় সেনা বলেও অভিযোগ করেছে চিনা সেনা।
ভারত সব অভিযোগ খারিজ করে। কিন্তু, এরমধ্যেই, চিনা সেনা ২টি ভারতীয় সেনার অস্থায়ী বাঙ্কার বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি, তারা কৈলাশ মানস সরোবার অভিমুখে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের যাওয়া নাথু লা-তে রুখে দেয়। এই নিয়ে দুদেশের মধ্যে ফের নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এদিকে, রাস্তা নির্মাণের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করতে চিনকে জানাল ভূটানও। সম্প্রতি, ভূটানের ডোকলাম (ডংল্যাং নামেও পরিচিত) অঞ্চলের জম্পলরিতে অবস্থিত সেনা শিবিরের দিকে রাস্তা নির্মাণ করছিল চিন। এদিন, ভারতে নিযুক্ত ভূটানের রাষ্ট্রদূত জানান, কূটনৈতিক মাধ্যম মারফত তারা চিনকে ওই জায়গায় সড়ক নির্মাণ বন্ধ করতে বলেছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, ভারত প্রভাব খাটিয়ে ভূটানকে দিয়ে এই কথা বলিয়েছে। চিনের অভিযোগ, ভূটান সীমান্তে ভারতের কিছু ‘গোপন বিষয়সূচি’ রয়েছে, যা ওরা কার্যকর করতে চাইছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, চিন-ভূটান সীমান্ত চিত্রিত বা অঙ্কিত নেই। পাশাপাশি, ভূটান হল সার্বভৌম রাষ্ট্র। কোনও তৃতীয় পক্ষের (পড়তে হবে ভারত) উচিত নয় এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করা।