গিলগিট: বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের আওতায় চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশে এই বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। কারাকোরাম স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, বালাওয়ারিস্তান ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, গিলগিট বালতিস্তান ইউনাইটেড মুভমেন্ট এবং বালাওয়ারিস্তান ন্যাশনাল ফ্রন্ট গিলগিট, হুঞ্জা, স্কার্দু ও ঘিজের অঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু করেছে।

১৯৪৮-৪৯ থেকেই গিলগিট অঞ্চলটি বিতর্কিত। সেখানকার মানুষের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকারের সাহায্যে চিনের সেনাবাহীন সেখানে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে। এবার বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের মাধ্যমে গিলগিট দখল করতে চাইছে চিন। পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করছে তারা। গিলগিটের মানুষকে চিনের দাস করার চক্রান্ত চলছে। এই আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সাহায্য চাইছেন গিলগিটের মানুষ।

বেল্ট অ্যান্ড রোড সম্মেলন শুরু হওয়ার আগের দিন বেজিংয়ে চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং ও পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপস্থিতিতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় বন্দরের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরের সংযোগ করার কথা বলা হয়েছে এই চুক্তিতে। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তানে চিনের সেনাঘাঁটি তৈরি হচ্ছে বলেও খবর।

গিলগিট-বালতিস্তান থিঙ্কারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াজাহাত খান বলেছেন, এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত। পাকিস্তান ও চিন গিলগিটের মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অর্থনৈতিক করিডর গড়ার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কিন্তু চিন ও পাকিস্তান প্রতিবাদে কান দিচ্ছে না। তাই অন্য দেশগুলির সাহায্য চাইছেন তাঁরা।