নয়াদিল্লি: হাতের চাবুক পিঠে পড়ছে সপাসপ। গায়ের ওপর উঠে পা দিয়ে টিপে ধরছেন নাক মুখ। দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে অকথ্য গালাগালি। না, কারও ওপর রাগে এভাবে প্রতিশোধ নিচ্ছেন না ইনি। এটাই ওঁর পেশা। এই যে আপনাকে উনি চাবকে লাল করে দিলেন সে জন্য আপনি ওঁকে কত টাকা দিয়েছেন জানেন? ঘণ্টায় ১৫,০০০।


৩১ বছরের এই হান্টারওয়ালির নাম আর্নিয়া ম্যাকটান্স। বাড়ি ব্রিটেনের হ্যাম্পশায়ারে। পরিচিত আরি বলে। এঁর কাজ হল পুরুষদের গুছিয়ে মারধর করা। দেখা যাচ্ছে, মানুষ এখন নিজেদের যৌনতা নতুন নতুনভাবে উদযাপন করছেন, খুঁজে বার করছেন তার নানা দিক। কিন্তু যাঁরা তা করতে পারছেন না, তাঁরা এভাবেই আরির সাহায্যে চালাচ্ছেন নিজেদের নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা।

শারীরিকভাবে অত্যাচার করে এক শ্রেণির পুরুষের যৌনকামনা নিবৃত্ত করেন আরি। তাঁদের শরীরের ওপর হেঁটে চলে বেড়ান। চাবুক মারেন। এমনকী পা দিয়ে টিপে ধরেন নাক মুখ। সঙ্গে জঘন্য গালাগাল। কিন্তু পুরুষরা তৃপ্ত এতেই। এতে নাকি তাঁদের বিয়ে ভাঙা আটকানো যাচ্ছে।

১৯ বছর বয়সে এই পেশায় আসেন আরি। একটি ক্লাবে অপরিচিত এক ব্যক্তি এসে বলেন, তাঁকে চাবুক মারতে। নতুন এই অভিজ্ঞতায় আরিও সমৃদ্ধ হন, তাঁর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। পেশাদার ডমিনাট্রিক্স বা শারীরিক অত্যাচারের মাধ্যমে যৌনাকাঙ্খা পূরণকারিণী হিসেবে ২৫ বছর বয়সে খোলেন নিজস্ব ওয়েবসাইট।

আরির ক্লায়েন্টরা জানাচ্ছেন, যে সব ইচ্ছে স্ত্রীকে মেটাতে বললে খড়গহস্ত হবেন, তাই করে দিচ্ছেন আরি। এ জন্য ঘণ্টাপিছু ১৫,০০০ টাকা খরচ করতে তাঁরা পিছপা নন। এভাবে ইতিমধ্যেই আরি জমিয়ে ফেলেছেন ২০ লক্ষ টাকা। তাঁর বয়ফ্রেন্ডেরও এতে আপত্তি নেই কোনও। গার্লফ্রেন্ড যদি বাইরের পাঁচটা লোককে মারধর করে বাড়িতে কাঁড়ি কাঁড়ি পাউন্ড নিয়ে আসে, কার না ভাল লাগবে!