ডিপার্টমেন্ট অফ প্ল্যান্ট প্রটেকশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখায় এইমুহূর্তে যা পরিস্থিতি, সেটা দেখে পাক সরকারের সিদ্ধান্ত আপাতত ওয়াঘা সীমান্ত ও করাচি বন্দর দিয়ে ভারতের কোনও জিনিষ সেদেশে ঢুকবে না।
সীমান্তের এপারে যাঁরা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়াই হঠাত্ করে সেদেশে ভারতের কৃষিজাত দ্রব্য এবং তুলোর রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এদিকে ডিপিপি দফতরের প্রধান ইমরান শামি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কৃষকদের স্বার্থেই তাঁরা ভারত থেকে টমেটো এবং অন্য সবজির আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সেদেশে যথেষ্ট পরিমাণ কৃষিজাত দ্রব্য উত্পন্ন হয়। একমাত্র স্থানীয় বাজারে ফসলের আকাল দেখা দিলে তবেই তাঁরা ভারত থেকে আমদানি করবেন ভবিষ্যতে, জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
তবে তুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণ অন্য, দাবি ওই আধিকারিকের। ইমরান শামির দাবি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখানে তুলো রপ্তানির সময় পাকিস্তানের নির্দেশিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম মানছেন না। তাই সাময়িকভাবে তুলোর আমদানি ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এরসঙ্গে ওই আধিকারিক একথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি, ভারতের যে ব্যবসায়ীরা তাঁদের দফতর থেকে অনুমতিপত্র পেয়েছেন, তাঁরা তাঁদের তুলো পাঠাতে পারবেন সীমান্তের ওপারে।