ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র কারলোটা সামি জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে ১৪০ জন শরণার্থী নিয়ে জাহাজটি ছাড়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সেটি ডুবে যায়। প্রত্যেকেই জলে পড়ে যান। মাত্র ২৯ জন প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে নরওয়ের এক বিমানচালকের। তিনি দেখেন, লিবিয়া থেকে কয়েক মাইল দূরে ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরই কয়েকজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। অনেকক্ষণ সময় জলে থাকায় তাঁদের শারীরিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল।
আরও একটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় দুই মহিলাকে উদ্ধার করে একটি দ্বীপে পাঠিয়েছে ইতালীয় উপকূলরক্ষীবাহিনী। নৌকাটিতে ছিলেন ১২৫ জন যাত্রী। যাত্রা শুরুর খানিকক্ষণের মধ্যেই ডুবে যায় সেটি। দুই মহিলার দাবি, তাঁরা ছাড়া ওই নৌকার আরও কেউই বেঁচে নেই, এমনটাই তাঁদের বিশ্বাস। দুটি ঘটনারই উদ্ধারকাজ চলছে।
এই নিয়ে এই বছর ভূমধ্যসাগরে ৪,০০০-এরও বেশি শরণার্থীর নিখোঁজ ও মৃত্যুর আশঙ্কা। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় ছোট্ট আয়লান কুর্দির কথা। শরণার্থী বোঝাই এক নৌকোডুবিতে মৃত্যু হয় তার। উপকূলে তার তরতাজা নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এক ফটোগ্রাফার। মর্মান্তিক এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে।