ইয়াঙ্গন: মায়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে যে ব্যবহার করছে, সে ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে মিথ্যে খবরের হিমশৈলের ভিত্তিতে। বললেন মায়ানমারের সর্বময় নেত্রী আং সান সু কি। রাষ্ট্রপুঞ্জ মায়ানমারকে এই হিংসা বন্ধ করার অনুরোধ করার পর এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ ছেড়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছেন অন্তত ১,৪৬,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী। ২৫ অগাস্ট মায়ানমার সেনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় রোহিঙ্গা জঙ্গিরা, তারপর থেকে সেনা অভিযান আরও তীব্র হয়েছে রাখাইন প্রদেশে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের হাহাকারে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতদিন এ নিয়ে চুপ করে ছিলেন সু কি। এবার তিনি বলেছেন, পাহাড়প্রমাণ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহানভূতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে মায়ানমারের বিভিন্ন জাতির মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়, জঙ্গিদের স্বার্থসিদ্ধি হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্দোগান রোহিঙ্গা সমস্যাকে গণহত্যা আখ্যা দেওয়ার পর সু কির অফিস এই বিবৃতি জারি করেছে। সু কি বলেছেন, তাঁর সরকার রাখাইন প্রদেশের সব বাসিন্দার রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

রাখাইন প্রদেশের সাম্প্রতিক হিংসায় সঙ্কটে পড়েছেন স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধরাও। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ২৭,০০০ মানুষ। যদিও কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, রোহিঙ্গা জঙ্গিরাই খুন করেছে তাঁদের পরিবারবর্গকে।

মায়ানমারের ঘটনার প্রেক্ষিতে দু’বার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বর্মা দূতাবাস উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। বিশ্লেষকদের অভিযোগ, মায়ানমারের শক্তিশালী সেনাকে হাতে রাখতে ও বাড়তে থাকা বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদকে উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে নিশ্চুপ সু কি। তাঁর সরকার অস্বীকার করেছে যাবতীয় অভিযোগ, পরিস্থিতি দেখতে রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকদের মায়ানমার সফরেরও অনুমতি দেয়নি।