ঢাকা : অধ্যাপক-ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল ঢাকার এক আদালত। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আনসার আল ইসলামের পাঁচ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অপর একজনকে যাবজ্জীবন হাজতবাসের রায় শোনানো হয়েছে।


 


২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ঘটা নৃশংস ঘটনায় আঁতকে কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। যে ঘটনার ঠিক প্রায় ছয় বছর বাদে অভিযুক্তদের সাজার আদেশ শোনানো হল। সৈয়দ মহম্মদ জিয়াউল হক, আক্রাম হোসেন, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সাইমন ও আরাফাত রহমান নামে পাঁচজনকে শোনানো হয় মৃত্যুদণ্ড। যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয় সইফুর রহমান ফারাবিকে।




একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে আততায়ীদের হাতে আক্রান্ত হন মুক্তমনা ব্লগার-অধ্যাপক অভিজিৎ রায় ও তাঁর স্ত্রী রফিদা আহমেদ বন্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁদের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল অভিজিৎকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন রফিদা। দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রফিদা। যদিও সেই আঘাতের ক্ষত এখনও স্পষ্ট তাঁর শরীরে।


 


ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দোষপ্রমাণ হওয়ার পরই তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির সাজা শোনানো হয়। ২০১৯ সালের ১ অগাস্ট চার্জশিট গঠনের মাত্র ৩১ কর্মদিবসের মধ্যে শেষ হয়েছিল ট্রায়াল প্রক্রিয়া। বিচারপতিদের সামনে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছিলেন অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ও। যিনি ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হন।