বালি: মন্দির, সমুদ্র তট আর সার্ফিংয়ের জন্য দুনিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনস্থল বালি দ্বীপে বিপদ সংকেত। এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সব মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যে কোনও মুহূর্তে আগুঙ্গ আগ্নেয়গিরি বিপদ ছড়াতে পারে।

ইন্দোনেশিয়ার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ পর্যায়ের উদগীরণ ঘটাচ্ছে মাউন্ট আগুঙ্গ। যে কোনও সময় আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে। আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকার সাবধানতা অ্যালার্ট সর্বোচ্চ ৪ করে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে আগুঙ্গ থেকে আকাশময় ছড়িয়ে পড়েছে ছাই, তার জেরে অসংখ্য উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয় ২৪ ঘণ্টার জন্য, পাশের দ্বীপ লোম্বোকেও আছে একটি ছোট বিমানবন্দর, ছাইয়ের চোটে তা রবিবার বন্ধ ছিল।

ছাই থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে বালি ও পুলাউ লোম্বোক এলাকায় মুখোশ বিলি করা হচ্ছে।

মাউন্ট আগুঙ্গ এলাকায় সেপ্টেম্বর মাস থেকেই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। তখন ১,৪০,০০০-এর বেশি মানুষকে বলা হয়, যে কোনও মুহূর্তে গলিত লাভা বেরিয়ে এসে সব কিছু তছনছ করে দিতে পারে, এখনই এলাকা ছেড়ে চলে যাও। কিন্তু তেমন কিছু না ঘটায় আবার ঘরে ফেরেন স্থানীয়রা। এখন আবার তাঁরা অশনি সংকেত দেখছেন।

ইন্দোনেশিয়ায় গোটা বিশ্বের সবথেকে বেশি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এটি বসেই রয়েছে প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারের ওপর।

মাউন্ট আগুঙ্গ শেষবার আগুন ছড়ায় ১৯৬৩-তে, ভয়াবহ সেই অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১,৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়।