ঢাকা: গুলশন হামলার মূল চক্রী তামিম চৌধুরি পালিয়ে ভারতে চলে গিয়েছে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশের। গ্রেফতারি এড়াতে তামিমের পালিয়ে ভারতে ঢুকে গা ঢাকা দিয়ে থাকার সম্ভাবনার ব্যাপারে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান একেএম শাহিদুল হক। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিমের খোঁজে বাংলাদেশে ব্যাপক তল্লাসি চলছে। গুলশনের ঘটনা সহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে তাকেই মাথা বলে মনে করা হচ্ছে।

 

শাহিদুল জানান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফরে তিনি তামিম সম্পর্কে এনআইএ, সিবিআই কর্তাদের অবহিত করেছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও ওকে খুঁজছে, বলেন তিনি।

পুলিশ গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতেই অভিযান চালিয়ে তামিমকে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা বলে চিহ্নিত করার প্রমাণ হাতে পায় তারা। তিন বছর আগে সে কানাডা থেকে বাংলাদেশ ফিরে আসে।

 

শাহিদুল এও বলেন, হতে পারে, বাংলাদেশে সিরিয়ার ইসলামিক গোষ্ঠীর অপারেশনের মূল হোতা তামিম। তবে সঙ্গে সঙ্গে এও বলতে ভোলেননি যে, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলিতে আইএসের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

 

আইএস নয়, গুলশন হামলা ও মসজিদে নমাজ পাঠের সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) দিকেই আঙুল তুলেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রেই এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমই হয়তো পুনর্গঠিত জেএমবি-র নেতা ও মূল আর্থিক মদতদাতা। শাহিদুল অবশ্য জানান, জেএমবি ইদানীং নিজেদের বাংলাদেশে আইএসের লোক বলেই দেখাচ্ছে।

পুলিশের সদর কার্যালয়ের জনৈক শীর্ষ অফিসারও শাহিদুলের সুরেই বলেন, নতুন ভাবে তৈরি হওয়া জেএমবি-তে আদি সংগঠনের লোকজনই আছে এবং তারা তিন বছর আগেই এমন এক আদর্শ গ্রহণ করে যা আইএসের মতাদর্শের কাছাকাছি।

নিরপেক্ষ নিরাপত্তা বিশ্লেষণকারীদের মত, জেএমবি বা নয়া-জেএমবি যেমন আইএসের কাছাকাছি, তেমনই আরেক নিষিদ্ধ সংগঠন আনসারউল বাংলা টিম আদর্শের দিক থেকে আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ।