ক্ষেতে, মাঠে কাজ করা চলবে না মেয়েদের, ফতোয়া দেওয়ায় বাংলাদেশে গ্রেফতার মৌলবী
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
13 Dec 2017 03:23 PM (IST)
NEXT
PREV
ঢাকা: ক্ষেতে-খামারে মেয়েদের কাজ করা চলবে না, এহেন ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার মৌলবী ও স্থানীয় মসজিদের ৫ কর্তাব্যক্তি। ওই ফতোয়া জারি হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কুমারখালির বাসিন্দারা ঘরের মেয়ে-বউদের মাঠে কাজ করতে যাওয়ায় বাধা দিচ্ছে, বারণ করছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান আবদুল খালেক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, শুক্রবারের প্রার্থনার পর মেয়েদের ঘরের বাইরে বেরনো চলবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন ওই মৌলবী, বাকিরা। সন্ধ্যায় মসজিদের লাউডস্পিকারের মাধ্যমে তা প্রচার করা হয়।
৬ জনকে সামরিক জমানার বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০১ সালে বাংলাদেশে ফতোয়া ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা বসে। তবে ২০১১ সালে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া চলবে, যদি তাতে দৈহিক শাস্তির ব্যাপার না থাকে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি মেয়েদের মাঠে কাজ করতে না দেওয়ার ফতোয়ার তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের মত, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদালত থেকে বহু দূরে পড়ে রয়েছে যে গ্রামগুলি, সেখানে স্থানীয় মাতব্বররা ফতোয়া জারি করে নিজেদের পছন্দমতো এমন সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, যা দেশের আইনের পরিপন্থী।
গ্রামীণ বাংলাদেশে এককালে মেয়েদের ঘরেই বন্দি থাকতে হত, কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতির ফলে ফসল তোলার সময় প্রচুর সংখ্যায় তাদের মাঠে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় ভিত প্রায় সাড়ে চার হাজার টেক্সটাইল মিলে ৪০ লক্ষ শ্রমিকের প্রায় ৮০ শতাংশই মহিলা।
ঢাকা: ক্ষেতে-খামারে মেয়েদের কাজ করা চলবে না, এহেন ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশে গ্রেফতার মৌলবী ও স্থানীয় মসজিদের ৫ কর্তাব্যক্তি। ওই ফতোয়া জারি হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কুমারখালির বাসিন্দারা ঘরের মেয়ে-বউদের মাঠে কাজ করতে যাওয়ায় বাধা দিচ্ছে, বারণ করছে। স্থানীয় পুলিশ প্রধান আবদুল খালেক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, শুক্রবারের প্রার্থনার পর মেয়েদের ঘরের বাইরে বেরনো চলবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন ওই মৌলবী, বাকিরা। সন্ধ্যায় মসজিদের লাউডস্পিকারের মাধ্যমে তা প্রচার করা হয়।
৬ জনকে সামরিক জমানার বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০১ সালে বাংলাদেশে ফতোয়া ঘোষণায় নিষেধাজ্ঞা বসে। তবে ২০১১ সালে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া চলবে, যদি তাতে দৈহিক শাস্তির ব্যাপার না থাকে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি মেয়েদের মাঠে কাজ করতে না দেওয়ার ফতোয়ার তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের মত, বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদালত থেকে বহু দূরে পড়ে রয়েছে যে গ্রামগুলি, সেখানে স্থানীয় মাতব্বররা ফতোয়া জারি করে নিজেদের পছন্দমতো এমন সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়, যা দেশের আইনের পরিপন্থী।
গ্রামীণ বাংলাদেশে এককালে মেয়েদের ঘরেই বন্দি থাকতে হত, কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতির ফলে ফসল তোলার সময় প্রচুর সংখ্যায় তাদের মাঠে কাজ করতে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় ভিত প্রায় সাড়ে চার হাজার টেক্সটাইল মিলে ৪০ লক্ষ শ্রমিকের প্রায় ৮০ শতাংশই মহিলা।
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -