ঢাকা: ব্লগার খুনই হোক বা সংখ্যালঘু হত্যা, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে একের পর এক খুনে তাদের হাত থাকার দাবি করেছে আইএস। আর প্রতিবারই তা অস্বীকার করে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, আইএস নয়, দেশীয় জঙ্গিরাই এইসব হামলার পিছনে। ঢাকা সন্ত্রাসেও তার ব্যতিক্রম হল না। আইএসআইএস নিজেদের ওয়েবসাইটে রেস্তোঁরা হামলার কথা স্বীকার করে জঙ্গিদের ছবি আপলোড করলেও শেখ হাসিনা সরকার ফের দাবি করল, এই ঘটনাতেও আইএস নেই, রয়েছে দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা ইসলামি জঙ্গিরা।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশে আইএসআইএস বা আল কায়দার কোনওরকম অস্তিত্ব নেই, গুলশনের ঘটনার অপরাধীরা সকলেই বাংলাদেশের মানুষ। এদের বাবা ঠাকুর্দার পরিচয় পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার জানে, জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের মত দেশীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর এরা সদস্য।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমামের বক্তব্য, যেভাবে চাপাতি দিয়ে পণবন্দিদের গলা কেটে বা কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, তাতে জামাতের ছাপ স্পষ্ট। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে জামাতের যোগসাজস রয়েছে, তারা হাসিনা সরকার ফেলে দিতে চায়। ধরা পড়া একমাত্র জঙ্গিকে ভাল করে জিজ্ঞাসা করলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, মৃত ৬ জঙ্গির মধ্যে ৫জনকে পুলিশ আগে থেকেই খুঁজছিল, এদের নাম আকাশ, বিকাশ, ডন, বন্ধন ও রিপন।

তবে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে ওই জঙ্গিদের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখে পুরনো স্কুলের বন্ধুরা তাদের সনাক্ত করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করা হচ্ছে তাদের পুরনো ছবি।

মৃতদের স্মৃতিতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় পতাকা এই দু’দিন অর্ধনমিত থাকবে। শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করবেন তিনি।