দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বিদেশসচিব মহম্মদ শাহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান, কানাডা থেকে নূরকে বাংলাদেশে ফেরানোর ব্যাপারে একটা রাস্তা খুঁজে বের করবেন দু দেশের সরকারি অফিসাররা। আলোচনার লক্ষ্য হবে নূরকে বিচারের মুখে দাঁড় করানো ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা। সত্তরের কোঠায় চলে যাওয়া নূরকে কানাডা থেকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছে, এই আলোচনা তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ব্যাপারে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে জানান হক।
ঘটনাচক্রে প্রাক্তন সামরিক অফিসার নূর ১৯৭৫-এর আগস্ট শেখ মুজিব হত্যায় তাঁর অনুপস্থিতিতেই দোষী সাব্যস্ত হন। মুজিবরের যে ৫ পলাতক ঘাতকের অন্যতম তিনি। ২০০৯ সালে নূর ও আরও ১১ জনকে এই মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। দোষী ঘোষিত ৫ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে ২০১০ সালে। নূর সহ পাঁচজন বাংলাদেশে ফেরা এড়িয়ে গিয়েছেন। একজন মৃত।
১৯৯৬ সালে নূরকে ভিজিটর মর্যাদা দেয় কানাডা। তারপর থেকে তিনি সে দেশ ছাড়েননি। ১৯৯৮ থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রথা তুলে দেওয়া কানাডার ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ২০১১ সালে জানিয়ে দেন, কানাডা নূরকে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে পারবে না কারণ ফিরিয়ে দিলেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের মুখে পড়তে হবে। ফলে তাঁকে ঘিরে বাংলাদেশ, কানাডার মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। এবার হয়ত তা কাটতে চলেছে।