ঢাকা: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জেহাদ আল-ইসলামির (হুজি) প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার ২ সহযোগীকে বুধবার রাতে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ প্রশাসন। ২০০৪ সালে একটি ধর্মীয় স্থানে হামলার ঘটনায় তাদের ফাঁসির সাজা হয়েছিল। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন তিনজন। আহত হয়েছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার সহ বেশ কয়েকজন।


সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, এদিন রাত ১০টায় গাজিপুরের কাশিমপুর জেলে হান্নান ও তার দুই সহযোগী শরিফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলকে ফাঁসি দেওয়া হয়। আরেক সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনকে সিলেটের জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।


গাজিপুরের পুলিশ সুপার হারুন উল রশিদ জানান, হান্নান ও বিপুলের ময়না তদন্তের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ও তাদের দেহ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত সপ্তাহেই এই তিনজনের ফাঁসি ক্ষমা করার আবেদন খারিজ করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। তার আগে, গত ১৯ মার্চ, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হান্নানের ফাঁসির আদেশ রুখতে অস্বীকার করে।


বুধবার সকালে হান্নানের সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই কন্যা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করানো হয়। রিপনের পরিবারও তার সঙ্গে সিলেটের জেলে দেখা করে। কোনও অনভিপ্রত ঘটনা রুখতে হান্নানদের ফাঁসি কার্যকর করার আগে কাশিমপুর জেলের ভেতর ও বাইরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল।


২০০৪ সালে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যার লক্ষ্যে সিলেটের সন্ত হজরত শাহজালালের দরগায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় হান্নান ও তার সহযোগীরা। ওই বিস্ফোরণে আনোয়ার অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও, তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৭০ জন।