ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ায় আচমকা সন্ত্রাসবাদী তাণ্ডবে বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া ১৯ বছরের ভারতীয় মেয়ে তারিশি জৈন সমেত ২০ বিদেশি পণবন্দিকে প্রাণ হারাতে হয়। মারা যান দুজন পুলিশ অফিসারও। শেষ পর্যন্ত কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ৬ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে নিকেশ করে টানা কয়েক ঘণ্টার পণবন্দি নাটকের অবসান ঘটানো হয়।পরে ৬ সন্ত্রাসবাদীর ৫ জনের পরিচয় জানা গিয়েছে বলে ঘোষণা করেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা অফিসাররা।
এর মাত্র ৬ দিন বাদেই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের সমাবেশে বিস্ফোরণ হয়। দুজন পুলিসকর্মী নিহত হন জঙ্গি হামলায়।
ইসলামিক স্টেট দুটি হামলার দায় নিলেও বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের দাবি, দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশই এজন্য দায়ী। এমনকী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে সরকার আঙুল তোলে জামাত-ই-ইসলামি ও খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-র দিকেও।
পরে অবশ্য সরাসরি আইএসের নাম না করলেও বাংলাদেশ পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, বাংলাদেশি জঙ্গিরা আইএসের যোগসাজশ প্রমাণ করতে চাইছে বলে মনে হয়। ঢাকার পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিঁঞা সাংবাদিকদের বলেন, গুলশন হামলা যারা চালিয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশি। তবে তাদের বিদেশি যোগসাজশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। অবশ্য প্রমাণ না মেলা পর্যন্ত কিছু বলতে চাই না আমরা।