নয়াদিল্লি: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্যে যোগ দিতে রাজধানী এলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি, ভুটানের রাজা জিগমে কেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক। শ্রীলঙ্কার অস্থায়ী বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্মণ কিরিয়েলা, নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ ঘাওয়ালি, পাকিস্তানের অস্থায়ী তথ্যমন্ত্রী সৈয়দ জাফর আলি আসতে পারেন। বাজপেয়ীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তাঁরা দেশের মুক্তিযুদ্ধে বাজপেয়ীর অবদান ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থনের কথা মনে রেখেছে।
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাজপেয়ীর প্রয়াণে গভীর শোক জানান। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো শোকবার্তায় বলেন, উনি ছিলেন ‘আমাদের পরম বন্ধু’, বাংলাদেশে ‘বিরাট সম্মানিত’। ১৯৭১-এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মান দিয়েছে। আজকের দিনটা অবশ্যই বাংলাদেশে আমাদের সবার কাছেই গভীর শোকের। ভারতের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর দুঃখজনক প্রয়াণে আমরা গভীর মর্মাহত। সুশাসনে তাঁর অবদান ও আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতের সাধারণ জনতার জীবনে প্রভাব ফেলা বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।


পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাজপেয়ীর চলে যাওয়ায় শোক জানিয়ে বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওনার উদ্যোগ চিরদিন মনে থাকবে। পাকিস্তানের অন্য নেতারাও বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বদল আনতে ওনার বড় অবদান ছিল, উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক স্তরে সহযোগিতার বড় সমর্থক ছিলেন তিনি। বাজপেয়ীকে উপমহাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করে তাঁর মৃত্যুতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হলে বলেও মন্তব্য করেন ইমরান।

বলেন, বিদেশমন্ত্রী হিসাবে বাজপেয়ী প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক সহজ, স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে রাস্তা বের করার চেষ্টা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সাফল্যের সঙ্গে সেই প্রচেষ্টাকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের জনগণকে এই শোকের সময় সমবেদনা জানাই। ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি স্থাপন করেই বাজপেয়ীর অবদানকে প্রকৃত সম্মান জানাতে পারি আমরা।